—প্রতীকী চিত্র।
দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। শুক্রবার সকালে বাড়ির মধ্যেই একটি চালাঘরে সুশান্ত পাল (৫০) ও তাঁর স্ত্রী অনিমা পালের (৪৪) ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের লোকজন। একই দড়িতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেহ দু’টি ছিল। কেতুগ্রাম থানার পুলিশ দেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
কেতুগ্রাম থানার মাসুন্দি গ্রামের পালপাড়ার ঘটনা। সুশান্ত পালের ভাই সামন্ত বলেন, ‘‘শুক্রবার সকালে আমার স্ত্রী দাদা-বৌদিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে আমাকে ডাকে দেয়। আমি গিয়ে দেখি একই দড়িতে দাদা বৌদি গলায় ফাঁস দিয়েছে। তাড়াতাড়ি স্থানীয় মানুষের সাহায্যে কান্দরা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত বলে জানিয়ে দেন। বৃহস্পতিবার রাতে ভাইপোর সঙ্গে সবজি আনা নিয়ে অশান্তি হয়েছিল। পেশায় সবজি বিক্রেতা সুশান্ত পাল কান্দরার পাইকারি বাজার থেকে সবজি কিনে গ্রামে গ্রামে ফেরি করতেন। বৃহস্পতিবার ছেলেকে কান্দরা থেকে সবজি এনে দিতে বললে ছেলে রাজি হয়নি। সেই নিয়ে অশান্তি হয়। সুশান্ত পাল গভীর রাতে বৌদিকে নিয়ে একই দড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়।’’ দম্পতির ছেলে সুবাহু পাল বলেন, ‘‘সবজি আনব না বলেছিলাম বলে বকাঝকা হয়েছিল। কিন্তু এই কারণে বাবা-মা গলায় দড়ি দেবে ভাবতে পারছি না।’’ কেতুগ্রাম থানার পুলিশ দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মাসুন্দি গ্রামের বাসিন্দা সুশান্ত ও অনিমার দুই ছেলে। বড় ছেলে সুবাহু পাল আয়ুর্বেদ ওষুধ বিক্রি করেন। ব্যাঙ্কে ঠিকা চুক্তিতে লোন সংক্রান্ত কাজও করেন। ছোট ছেলে সৈকত ভিন্রাজ্যে একটি হোটেলে কাজ করেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের জমিজমা তেমন কিছু নেই। সুশান্ত আগে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। কিন্তু সিমেন্টের কাজ করার জন্য তাঁর ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেওয়ায় ওই কাজ ছেড়ে দেন। তার পর ভিন্রাজ্যে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজে যোগ দেন। মাসখানেক আগে বাড়ি চলে আসেন। তার পর সবজি ব্যবসা শুরু করেন। পাইকারি বাজারে সবজি কিনে সাইকেলে চড়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিক্রি করতেন। স্ত্রী অনিমা গৃহবধূ। জানা গিয়েছে সুশান্তদের পৈতৃক ভিটেতেই আলাদা ভাবে থাকেন তাঁর ভাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy