ছবি: সংগৃহীত।
প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধসের পরে দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশের পাঁচ জেলায় উদ্ধার কাজ শেষ করার কথা ঘোষণা করল প্রশাসন। সরকারি ভাবে মৃতের সংখ্যা বলা হয়েছে ১৫৬, এর মধ্যে শুধু পার্বত্য রাঙামাটি জেলাতেই মারা গিয়েছেন ১১০ জন।
মরসুমি বৃষ্টিতে সোমবার রাত থেকে রাঙামাটি, বান্দরবন, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে পরপর ধস নেমে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গোটা এলাকা বাংলাদেশের বাকি অংশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তার মধ্যেই উদ্ধার অভিযানে নামে সেনা বাহিনী, পুলিশ, জেলা প্রশাসন, পূর্ত ও বিদ্যুৎ দফতর। বিরূপ আবহাওয়ায় দিনরাত পরিশ্রম করে তাঁরা বহু মানুষকে উদ্ধার করেন।
বিপর্যয়ের ক’দিন আগে ঘূর্ণিঝড়ও আছড়ে পড়েছিল এই এলাকাতেই। তার পরে প্রবল বৃষ্টি দুর্যোগকে আরও ঘনীভূত করে। কিছু মাছ ধরার নৌকা সমুদ্রে নিখোঁজ হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় তটরক্ষী বাহিনীর একটি জাহাজও বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে কিছু ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে আসে। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা দুর্যোগের মধ্যেই চট্টগ্রাম পৌঁছে সেগুলি চট্টগ্রাম প্রশাসনের হাতে তুলে দেন। তার পরে ফের প্রাকৃতিক বিপর্যয়।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মহম্মদ মানজারুল মান্নান শুক্রবার বলেন, পর পর দু’দফার ভারী বর্ষণে এই জেলার সব ক’টি পাহাড়ের চূড়া ভেঙে পড়েছে। ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। ঢাকায় দুর্যোগ মোকাবিলা মন্ত্রক এ দিনই জানিয়েছে, ভূমিধসে রাঙামাটিতে ১১০ জন ছাড়া চট্টগ্রামে ২৩ জন, বান্দরবনে ৬ জন, কক্সবাজারে ২ জন ও খাগড়াছড়িতে ১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া জলে ভেসে, গাছ ও দেওয়াল চাপা পড়ে এবং বাজ পড়ে ১৪ জন মারা গিয়েছেন চট্টগ্রামে। মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রবল বর্ষণেও ত্রাণ কর্মীদের তৎপরতায় বহু প্রাণহানি রোধ করা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy