বাংলাদেশ হেলায় হারাতে পারল না আফগানিস্তানকে। ২৫৮ রান করে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের থেকে ৭ রানে হারল আফগানিস্তান।
২৬৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই বেশ ধরে বেঁধে খেলছিলেন আফগানদের দুই ওপেনার শাবির নুরি ও মহম্মদ শাহজাদ। ব্যাট হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটিকে ভেঙে দেন মাশরাফির বল। ৩১ রানে আউট করে দেন শাহজাদকে।
আফগানিস্তানের উপর এর পরের ধাক্কাটা আসে সাকিবের হাত ধরে। নিজের প্রথম ওভারে বোলিং করতে নেমেই ৯ রান করা নুরিকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে দেন তিনি। নুরির উইকেট নিয়েই বাংলাদেশে ওয়ানডে-তে সর্বোচ্চ উইকেটপ্রাপ্ত হন সাকিব।
রবিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া এই ম্যাচে প্রথমে শাহদাজ এবং তার পরে পরেই নুরির আউটে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল আফগানিস্তান। পরে বেশ ঠান্ডা মাথায় ব্যাট হাতে নিয়ে দলকে কিছুটা টেনে তোলেন রহমত-শাহিদি জুটি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। আফগানিস্তান ২৫৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। যেখানে তাদের টার্গেট ছিল ২৬৬ রান।
বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের এই ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। তামিম-সাকিব-মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে আফগানদের ২৬৬ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয় টাইগাররা। তবে আফগানিস্তানকে যতটা সহজে হারিয়ে দেবে বলে মনে করেছিল, খেলাটা ততটাও সহজ হল না। ২৬৬ রানের পিছু ধাওয়া করে ২৫৮ রান করে ফেলে আফগানিস্তান।
ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগারদের ওপেনার তামিম ইকবাল খেলেন ৮০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। এই নিয়ে ওয়ানডে-তে তাঁর হাফ-সেঞ্চুরির সংখ্যা দাঁড়াল ৩৩। অর্ধশতরান করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও। ৬২ রান করার পর আউট হন তিনি। এই নিয়ে ওয়ানডে-তে রিয়াদের হাফ সেঞ্চুরির সংখ্যা হল মোট ১৫ টি। আর মাত্র ২ রানের জন্য সাকিবের অর্ধ শতরান হাতছাড়া হয়ে যায়। ৪৮ রান করার পর আউট হন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy