ভোটের হাওয়া বইতে শুরু করেছে বেশ কয়েক দিন। আওয়ামি লিগের বর্ধিত সভা, বিএনপির ভিশন ২০৩০-এর ঘোষণাতে তেমনই ইঙ্গিত মিলছিল। এ বারে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা জানিয়ে দিলেন, ‘‘যথাসময়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে। ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের জন্য উপযুক্ত সময়। আমরা নিজেরা কমিশন বসে ভোটের তারিখ জানাব।’’ এগারোতম সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশটির নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, পর্যবেক্ষক ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে জুলাই মাস থেকে নভেম্বরের মাঝে আলোচনায় বসবে নির্বাচন কমিশন।
এখনও বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি প্রায় দেড় বছর। আগামী বছরের ২৮ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে এগারোতম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই নির্বাচন বাস্তবায়নে সময়সূচি চূড়ান্ত করতে প্রস্তাবিত নির্বাচনী ‘রোডম্যাপ’ বিষয়ে বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলি সমেত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে একবার আলাপ-আলোচনা করবেন।
সীমানা পুনর্নির্ধারণ, আইন সংস্কার, ভোটার তালিকা সংশোধন, ভোটকেন্দ্র, ইসি-র সক্ষমতা বাড়ানো ও সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি— এ রকম সাতটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
আলোচনায় আসা খসড়া ‘রোডম্যাপ’ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার আলোচনা হয়েছে বলে জানান নুরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘‘আমরা খসড়া নিয়ে বসেছি, চূড়ান্ত হতে আরও ১৫-২০ দিন সময় লাগবে। এর পরই আমরা প্রস্তাবগুলি নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy