প্রতীকী ছবি।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও নাশকতা ঠেকাতে বিসর্জনে বিধিনিষেধ আরোপ করল বাংলাদেশ সরকারও। দশমীর দিন বিকেল তিনটে থেকে রাত আটটার মধ্যে সব প্রতিমা বিসর্জনের জন্য বাংলাদেশের পুজো কমিটিগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, পুজো ও মহরম পরপর পড়ায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের একটি চক্রান্ত চালাচ্ছে মৌলবাদী একটি রাজনৈতিক দল। এই কারণেই বিসর্জনের বিধিনিষেধ সকলকে মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশে এ বার সর্বজনীন দুর্গাপুজো হচ্ছে ৩০ হাজার ৭৭টি। এ ছাড়া বাড়ির পুজোর সংখ্যাও বেশ কয়েক হাজার। বিভিন্ন শহরে পুজো কমিটিগুলির কেন্দ্রীয় সংগঠন রয়েছে। তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শান্তিপূর্ণ ভাবে দুর্গাপুজো উদ্যাপনের জন্য সরকারের আরোপিত বেশ কিছু বিধিনিষেধের কথা এই বৈঠকে জানিয়ে দেন মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, পুজোকে ঘিরে জনসমাগমের মধ্যে জঙ্গি নাশকতার আশঙ্কা থেকেই যায়। মণ্ডপ ঘিরে অন্যান্য বারের মতো জোরদার পুলিশি পাহারা থাকছে। থাকবে গোয়েন্দাদের সতর্ক নজরদারিও। কিন্তু পুজো কমিটিগুলোকেও কিছু সতর্কতা নিতে হবে। কোনও মণ্ডপের চৌহদ্দির মধ্যে মেলা বসানা যাবে না। দর্শনার্থীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণে স্বেচ্ছাসেবকদের তৎপর থাকতেও বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার থেকেই দেশ জুড়ে গোয়েন্দা সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। ঢাকার ২৩১টি পুজো মণ্ডপে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঢাকেশ্বরী, রমনা, বনানী, কলাবাগান-সহ নামী পুজোগুলিতে সিসিটিভি, মেটাল ডিটেক্টর ফ্রেম ও অন্যান্য সুরক্ষা ব্যবস্থা বসাচ্ছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy