Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

খালেদা-বেজিং সম্পর্কে উদ্বিগ্ন দিল্লি

সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে ঢাকা সফরে গিয়ে বেগম জিয়ার সঙ্গেও বৈঠকে বসতে চলেছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।

বিএনপি-র নেত্রী খালেদা জিয়া। ফাইল চিত্র।

বিএনপি-র নেত্রী খালেদা জিয়া। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:০৩
Share: Save:

বাংলাদেশে নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বেজিং যে ভাবে সে দেশের বিরোধী দল বিএনপি-র নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন মোদী সরকার। তবে তার পরেও প্রাক্তন এই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ এবং আলোচনার পরিধি বাড়াতে চাইছে দিল্লি। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে ঢাকা সফরে গিয়ে বেগম জিয়ার সঙ্গেও বৈঠকে বসতে চলেছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের উপর প্রভাব ও অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব তৈরি করতে দীর্ঘদিন ধরেই সচেষ্ট চিন। দক্ষিণ এশিয়ায় আধিপত্য কায়েমের উদ্দেশ্যে নেপালের পাশাপাশি বাংলাদেশেও ভারতের ভূমিকা খর্ব করতে কৌশলগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বেজিং। এই প্রেক্ষাপটে খালেদার সঙ্গে চিনা প্রতিনিধিদের যোগাযোগের নতুন তথ্য কপালে ভাঁজ ফেলেছে দিল্লির।

হাঁটু ও চোখের চিকিৎসার জন্য জুলাইয়ের ১৫ তারিখে লন্ডন গিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা। ফিরেছেন কাল। লন্ডনে পুত্র তারেক রহমানের বাড়িতে থেকে পাকিস্তান, চিন, সৌদি আরবের মতো দেশের কূটনীতিক বা প্রতিনিধিদের সঙ্গে খালেদা বৈঠকে বসেছেন বলে খবর পেয়েছে দিল্লি। অভিযোগ, পাক গুপ্তচর সংগঠন আইএসআই-ই খালেদার সঙ্গে এঁদের যোগাযোগ করিয়ে দেয়। গত মাসের ২১ তারিখ লন্ডনে পাকিস্তান হাইকমিশনের দফতরে ‘ডিফেন্স ডে’-এর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন খালেদা। সেখানেই ব্রিটেনে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ হয় খালেদার।

তবে শেখ হাসিনার সঙ্গেও সুসম্পর্ক রেখে চলছে চিন। প্রধানমন্ত্রী হয়ে হাসিনা ভারতের হিতার্থে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করার পাশাপাশি চিনের সঙ্গেও সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। বাংলাদেশে শক্তি, পরিকাঠামো এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রে চিন বিশাল বিনিয়োগ করেছে। এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লির নেতৃত্বের একটি বড় অংশের মত— বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটা চলুক। পাশাপাশি খালেদার সঙ্গেও যোগাযোগ তৈরি করা হোক। কারণ বেগম জিয়াকে চিনের প্রভাবে চলে যেতে দেওয়াটা ঠিক হবে না।

ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের কথায়, কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রতি দিল্লি পক্ষপাত দেখায় না। বাংলাদেশের কিছু দলই ভারত-বিরোধিতার রাজনীতি করে। দিল্লি চায়, আগামী নির্বাচনে সব দল অংশ নিক, যাতে নির্বাচন নিয়ে কোনও বিতর্ক না-ওঠে। কারণ, গুরুত্বপূর্ণ পড়শি দেশে রাজনৈতিক ব্যবস্থা দুর্বল হওয়াটা দিল্লির কাম্য নয়। বিএনপি নেত্রীকেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরামর্শ বৈঠকে দিতে পারেন সুষমা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Khaleda Zia Bangladesh Sushma Swaraj
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE