সওয়ারি: রিকশায় চেপে সেন্ট মেরিজ ক্যাথিড্রাল দেখতে গেলেন পোপ ফ্রান্সিস। শুক্রবার ঢাকায়।ছবি: রয়টার্স।
মায়ানমারে না-করলেও ঢাকার কাকরাইলে একটি অনুষ্ঠানে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি প্রথম উচ্চারণ করলেন পোপ ফ্রান্সিস। কক্সবাজার থেকে আসা ১৬ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে একে একে আশীর্বাদ করে রোমান ক্যাথলিকদের এই প্রধান ধর্মগুরু বলেন, ‘‘রোহিঙ্গাদের মধ্যেও সৃষ্টিকর্তার উপস্থিতি রয়েছে।’’
বাংলাদেশ সফরের দ্বিতীয় দিনে ঢাকার সোহরাবর্দি উদ্যানে সমবেত প্রার্থনায় তিনি বিশ্বশান্তির কথা বলেন। ভাবগম্ভীর পরিবেশে প্রায় ৮০ হাজার খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী পোপকে স্বাগত জানান। ছাদখোলা গাড়িতে তিনি সকলকে আশীর্বাদ করতে করতে অনুষ্ঠানে আসেন। সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে প্রথমে ১৬ জন ডিকনকে যাজক হিসাবে অভিষিক্ত করেন। তার পরে সমবেত প্রার্থনা পরিচালনা করেন। পোপ বলেন, সকল সম্প্রদায়ের মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। মানুষের ওপর বিশ্বাস রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
পাশে: রোহিঙ্গা কিশোরীর সঙ্গে পোপ। শুক্রবার ঢাকায়।
বিকেলে বারিধারায় ভ্যাটিকানের দূতাবাসে পোপের সঙ্গে দেখা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বোন রেহানা, তাঁর ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিকি ও পরিবারের অন্যরা হাসিনার সঙ্গে ছিলেন। পোপ ফ্রান্সিসকে একটি নৌকার প্রতিরূপ উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে রমনায় বিশপদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন পোপ। ক্যাথিড্রাল পরিদর্শন করেন। রিকশায় চড়ে যান কিছুটা পথ। শনিবার কয়েকটি অনুষ্ঠানের পরে বাংলাদেশ ছাড়বেন পোপ ফ্রান্সিস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy