স্বেচ্ছায় রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি ছেড়ে দিতে গ্রাহকদের কাছে আবেদন জানানোর প্রায় দেড় মাসের মধ্যেই রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির সাশ্রয় প্রায় ২ কোটি টাকা।
দেশে ১৫ কোটি রান্নার গ্যাস গ্রাহকের মধ্যে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হিসেবে ভর্তুকির সিলিন্ডার ছেড়েছেন প্রায় ৩ হাজার জন। সেই কারণেই গ্রাহক পিছু বছরে চাহিদা ১২টি সিলিন্ডার হিসেব করে এবং সিলিন্ডার প্রতি গড়ে ৫০০ টাকা ভর্তুকি ধরে তিন তেল সংস্থার সাশ্রয় প্রায় ১.৮০ কোটি টাকা। এ রাজ্যে আপাতত ১০০ জন রান্নার গ্যাসের গ্রাহক স্বেচ্ছায় ভর্তুকি নিতে চান না। সেই মর্মে তাঁরা সংশ্লিষ্ট তেল সংস্থার কাছে আবেদন জানিয়েছেন। এর ফলে ওই একই হিসেব ধরে পশ্চিমবঙ্গে বছরে ৩ তেল সংস্থার আপাতত বাঁচবে ৬ লক্ষ টাকার কিছু বেশি। প্রসঙ্গত, এ বছরের ৪ জুলাই সামর্থ্যে কুলোলে ভর্তুকি ছাড়ার আবেদন করে তেল মন্ত্রক।
ভর্তুকি খাতে যেখানে কেন্দ্রের খরচ হয় মোট ৪৬ হাজার কোটি টাকার মতো, সেখানে এই অঙ্ক সামান্য। তবে ভবিষ্যতে আরও ভাল সাড়া মিলবে বলেই তেল সংস্থাগুলি আশাবাদী। সাধারণ গ্রাহকদের পাশাপাশি তেল সংস্থাগুলি তাঁদের কর্মীদের কাছে এই আর্জি জানিয়েছেন। মূলত ম্যানেজমেন্ট স্তরের কর্মীদের অনেকেই সাড়া দিয়েছেন।
একটি অর্থবর্ষে একজন গ্রাহক সর্বাধিক ১২টি ভর্তুকির সিলিন্ডার (কলকাতায় এখন যা ৪১৬ টাকা) পেতে পারেন। তার চেয়ে বেশি লাগলে তা বাজার দরেই (এখন কলকাতায় যা ৯৬৪.৫০ টাকা) কিনতে হয় গ্রাহককে।
সারা দেশের হিসেবে আইওসি-রই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গ্রাহক (১,৫০০) এখনও পর্যন্ত ভর্তুকি ছেড়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে আপাতত তিনটি সংস্থার ভর্তুকি ছেড়ে দেওয়া গ্রাহকদের সংখ্যা হল: আইওসি ৪০, এইচপি ৩০ এবং বিপি ৩০ জন। তবে তিনটি তেল সংস্থাই তাদের ওয়েবসাইটে এ জন্য আলাদা একটি বিভাগ খুলেছে। গ্রাহকদের প্রতি তাদের আর্জি, “দেশ গড়তে এগিয়ে আসুন’। ওই বিভাগে ভর্তুকি ছেড়ে দেওয়ার পদ্ধতি ও যাঁরা ভর্তুকি ছাড়লেন, তাঁদের নামের তালিকা উল্লেখ করে ‘সম্মান’ প্রদর্শন করা হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, কোনও গ্রাহক ভর্তুকির সিলিন্ডার ছাড়তে চাইলে তিনি সংশ্লিষ্ট সংস্থার ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন জানাতে পারেন। নয়তো সরাসরি ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে গিয়েও আবেদন করতে পারেন। তবে একবার ভর্তুকি ছেড়ে দেওয়ার পরে কারও যদি মনে হয় তিনি ফের তা নেবেন, তা হলে একটি অর্থবর্ষে মাত্র একবারই নতুন করে ভর্তুকির সিলিন্ডারের জন্য তিনি আবেদন করতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy