রাজ্যে চা শিল্পকে চাঙ্গা করতে মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করা মন্ত্রিগোষ্ঠী তার রিপোর্ট বৃহস্পতিবার জমা দিয়েছে। চা শিল্পের উন্নতিতে কী কী প্রয়োজন, তা নিয়ে বেশ কিছু সুপারিশ করেছেন গোষ্ঠীর সদস্যরা। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় ওই রিপোর্ট ভাল করে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষুদ্র চা চাষিদের কেন্দ্রীয় ভর্তুকি-সহ বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা পাওয়ার পথ এ বার সহজ হল। রাজ্যের ছাড়পত্র পাওয়ার পরে উত্তরবঙ্গের প্রায় ৮,৬০০ ছোট চা চাষির জন্য বিশেষ কার্ড বা পরিচয়পত্র বণ্টন শুরু করেছে টি বোর্ড।
অসমে এই ব্যবস্থা আগেই শুরু হলেও পশ্চিমবঙ্গে তা বন্ধ ছিল। সাধারণ ভাবে বড় চা বাগানের জমি লিজে দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু ছোট চাষিরা নিজেদের জমিতেই চাষ করেন, যদিও অনেক ক্ষেত্রে জমির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাই পরিচয়পত্র দিলে বেআইনি জমিও আইনি স্বীকৃতি পেতে পারে, এই আশঙ্কায় আপত্তি তুলেছিল রাজ্য।
অন্য দিকে, বড় বাগান টি বোর্ডের আর্থিক সুবিধা পেলেও ব্যক্তিগত ভাবে কোনও ক্ষুদ্র চা চাষি এত দিন তা পেতেন না। তাঁরা স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়লে অবশ্য সে সুবিধা মিলত। পরিচয়পত্র পেলে ব্যক্তিগত ভাবেও ক্ষুদ্র চা চাষি আর্থিক সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন টি বোর্ডের কর্তারা। তবে এই পরিচয়পত্র পেতে হলে জমির বৈধতার নথি চাষিকেই দিতে হবে। অবশ্য সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, পরিচয়পত্র দিলেও ক্ষুদ্র চা চাষির জমির বিষয়টিকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। তবে নতুন বা পুরনো গাছ লাগানো, সেচ, পাতা তোলার জন্য যন্ত্রের ব্যবহারে শর্তসাপেক্ষে ভর্তুকি পেতে পারেন ক্ষুদ্র চা চাষি। ভবিষ্যতে ব্যাঙ্ক-ঋণ পেতেও সুবিধা হবে বলে মনে করছে চাষিদের সংগঠন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনস।
এ দিকে, নবান্ন সূত্রের খবর, চা শিল্পে বাসুদেববাবুর অভিজ্ঞতা রয়েছে বলেই তাঁর উপর মন্ত্রিগোষ্ঠীর রিপোর্ট খতিয়ে দেখার ভার দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy