রাজ্যের দেখানো জমিতে নয়। রাজ্যের দ্বিতীয় পলি পার্ক তৈরি হতে চলেছে বেসরকারি জমি মালিকদের থেকে কেনা জমির উপরে। কারণ সামাজিক, যোগাযোগ ও অন্যান্য পরিকাঠামোর টানে কলকাতার কাছাকাছি ব্যবসা করতে চান বিনিয়োগকারীরা।
প্লাস্টিক শিল্পমহলের প্রস্তাবিত পার্কের জন্য জমি দিতে প্রস্তুত রাজ্য সরকার। খড়গপুর, নৈহাটি ও কল্যাণীতে জমি দেওয়ার কথা জানিয়েছে সরকার। শুক্রবার ইন্ডিয়ান প্লাস্টিকস ফেডারেশন আয়োজিত প্রদর্শনী ইন্ডপ্লাস্ট ২০১৫ উদ্বোধন করতে এসে শিল্প ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানান, রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের বিভিন্ন পার্কে জমি রয়েছে। এ সব জমিতে পার্ক গড়তে চাইলে নিগম সাহায্য করবে বলেও তিনি জানান।
অমিতবাবুর এই ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও প্লাস্টিক শিল্পমহলের মতে, রাজ্য সরকারের দেখানো জমিতে কারখানা তৈরির জন্য লগ্নিকারীরা উৎসাহ দেখাচ্ছেন না। নতুন পার্ক গড়তে কলকাতার কাছে হাওড়ায় বেসরকারি মালিকদের থেকে ইতিমধ্যেই জমি কিনতে শুরু করেছে ফেডারেশন। খড়গপুর, নৈহাটি বা অন্যান্য জায়গায় কলকাতার মতো সুযোগ-সুবিধা এখনও অমিল বলেই ফেডারেশনের এই সিদ্ধান্ত। তবে পার্কের পরিকাঠামো গড়তে নিগমের সাহায্য চায় শিল্প।
হাওড়ার সাঁকরাইলে একটি পলি পার্ক আগেই তৈরি হয়েছে। ৫০ একর জমি জুড়ে এই পার্কে ৪২টি কারখানা চালু হয়েছে। প্লাস্টিক ফেডারেশনের অন্যতম কর্তা প্রদীপ নায়ারের দাবি, প্রায় ৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ এসেছে এই পার্কে। একই সঙ্গে তিনি জানান, নতুন পার্কে বিনিয়োগ করতে ইতিমধ্যেই ১০০ জনের বেশি বিনিয়োগকারী রাজি। তবে তা কলকাতার কাছাকাছি হতে হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, হাওড়ায় বর্তমান পলি পার্কের কাছেই ৫০ একর জমিতে আরেকটি পলিমার পার্ক তৈরি করতে চায় ফেডারেশন।
নতুন পলি পার্কে শুধু ছোট ও মাঝারি সংস্থা নয়। ফেডারেশনের তরফে অশোক জাজোদিয়া জানান, প্লাস্টিক শিল্পের জন্য যন্ত্র নির্মাতা সংস্থার বিনিয়োগও জরুরি। প্রদর্শনীতে এ বার যোগ দিয়েছে বেশ কয়েকটি যন্ত্র নির্মাতা সংস্থা। এর আগে প্রদশর্নীতে এদের উপস্থিতি থাকত না বললেই চলে। তাঁর দাবি, গুজরাতের একটি সংস্থা নতুন পার্কে পাঁচ একর জমি নিয়ে যন্ত্র তৈরির কারখানা চালু করতে চায়।
এ দিন প্লাস্টিক শিল্পের প্রদর্শনীর জন্য বিশেষ পরিকাঠামোর দাবি জানায় প্লাস্টিক শিল্পমহল। তাদের মতে, পাকাপাকি প্রদর্শনী স্থল না-থাকায় যন্ত্র নির্মাতা সংস্থাগুলি প্রদর্শনীতে যোগ দিতে চায় না। কারণ শক্ত জমি না থাকলে যন্ত্র প্রদর্শনী করা মুশকিল। অমিতবাবু জানান, মিলন মেলা ঘিরে কিছু আইনি সমস্যা ছিল। সেই সমস্যা মিটে গিয়েছে। তাঁর দাবি, এ বার মিলন মেলার পরিকাঠামো উন্নত করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy