ফের সেই নির্বাচনের ফলাফল সংক্রান্ত প্রত্যাশার হাত ধরেই চাঙ্গা হল শেয়ার বাজার। মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে ওই দুই রাজ্যে বিজেপি-র সরকার গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বুথ ফেরত সমীক্ষা। আর এতেই উৎসাহিত হয়ে পড়েছে শেয়ার বাজার। যার ফলে শুক্রবার সেনসেক্স বেড়ে গিয়েছে ১০৯.১৯ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময়ে সূচক ফের ২৬ হাজার ছুঁয়ে পৌঁছে যায় ২৬,১০৮.৫৩ অঙ্কে। অথচ এর আগে গত দু’দিন ধরেই পতন হয়েছে সূচকের। বৃহস্পতিবার সেনসেক্স পড়েছিল এক ধাক্কায় প্রায় ৩৫০ পয়েন্ট।
এ দিন এক সময়ে সেনসেক্স আগের দিনের থেকে প্রায় ২৫০ পয়েন্ট উপরে উঠে গিয়েছিল। পরের দিকে অবশ্য তাকে বেশ কিছুটা নেমে আসতে দেখা যায়।
শেয়ারের পাশাপাশি এ দিন বাড়ে টাকার দামও। ডলারের সাপেক্ষে ৩৯ পয়সা বেড়েছে টাকা। ফলে এ দিন বিদেশি মুদ্রার বাজার বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ৬১.৪৪ টাকা।
এখন প্রশ্ন, মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় বিজেপির জেতার প্রত্যাশার সঙ্গে শেয়ার বাজারের সম্পর্ক কী?
লোকসভায় বিজেপির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও রাজ্যসভায় একক ভাবে বিল পাশ করানোর ক্ষমতা তাদের নেই। তাই মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা বিধানসভায় বিজেপি জিতলে রাজ্যসভায় তাদের শক্তি বৃদ্ধি হবে। এর ফলে আর্থিক সংস্কার ত্বরান্বিত করার ব্যাপারে বিজেপি আরও বড় ভূমিকা নিতে পারবে বলে মনে করছে শেয়ার বাজার মহল। এই জন্যই ওই দুই রাজ্যে বিধানসভা ভোটে বিজেপির জেতার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ইঙ্গিত পাওয়ায় খুশি শেয়ার বাজার মহল।
পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষ করে এশিয়া এবং ইউরোপের অধিকাংশ শেয়ার বাজারও এ দিন চাঙ্গা ছিল। এর প্রভাবও ভারতে পড়েছে বলে মনে করছেন শেয়ার বিশেষজ্ঞেরা।
অবশ্য বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের এটাও মত যে, এ দিন সূচক উঠলেও বাজারে অনিশ্চয়তা বেশ কিছু দিন চলবে। তাঁদের মতে, শেয়ারের দামে এখনও কৃত্রিমতা রয়েছে। ফলে সংশোধন চলবে। ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর এস কে কৌশিকের বক্তব্য, “শেয়ার বাজারে টাকা ঢালার উদ্দেশ্যই হল মুনাফা করা। শেয়ারের দাম বেড়ে সেই মুনাফা শুধু কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থাকবে, সেটা হতে পারে না। মুনাফার টাকা হাতে পেতে হলে শেয়ার বিক্রি করতে হবে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই শেয়ারের দাম বেশ কিছু দিন ওঠায় এখন তা বেচে মুনাফা করার ভাল সুযোগ এসেছে। লগ্নিকারীরা সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করছেন। বাজারে এটাই স্বাভাবিক নিয়ম।”
সে ক্ষেত্রে ভারতের শেয়ার বাজার নিয়ে কোনও হতাশার জায়গা আছে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের ধারণা, ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসের মধ্যেই বাজার ঘুরে দাঁড়াবে। যাঁরা শেয়ার বেচে লাভ তুলছেন, কিছু দিন পরে তাঁরাই ফের শেয়ার কিনতে মাঠে নেমে পড়বেন। ফলে আবার ঘুরে দাঁড়াবে বাজার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy