অর্থনীতির আয়তন কী ভাবে বাড়ছে, তা মাপার ফিতেই বদলে দিচ্ছে দিল্লি। এত দিন বৃদ্ধির হার হিসেব করতে যে জিডিপি (মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন) নেওয়া হত, তা বার করা হত উৎপাদন খরচের ভিত্তিতে। কিন্তু তার বদলে এ বার বাজার দরের ভিত্তিতে হিসেব করা জিডিপি দিয়ে বৃদ্ধি মাপবে কেন্দ্র।
বদলে যাচ্ছে জিডিপি হিসেবের ভিত্তি বর্ষও। আগেকার ২০০৪-’০৫ আর্থিক বছরের পরিবর্তে এখন ২০১১-’১২ সালের দামের ভিত্তিতে তা কষা হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে আয়তন বাড়তে পারে অর্থনীতির। সে ক্ষেত্রে রাজকোষ ঘাটতিকে জিডিপির ৪.১ শতাংশে বেঁধে রাখা কিছুটা সহজ হবে।
একটি আর্থিক বছরে দেশে মোট কত টাকার পণ্য ও পরিষেবা তৈরি হচ্ছে, তার মাপই হল জিডিপি। বিভিন্ন পদ্ধতিতে তা মাপা হয়। যেমন: অর্থনীতিতে যা তৈরি হচ্ছে তার উৎপাদন খরচের ভিত্তিতে, আবার ওই সব পণ্য-পরিষেবার বাজার দরের ভিত্তিতেও। এত দিন উৎপাদন খরচের ভিত্তিতে হিসেব করা জিডিপির তুলনা করে মাপা হত বৃদ্ধির হার। অর্থাৎ আগের বছরের থেকে জিডিপি কত বেড়েছে। এ বার ওই কাজই করা হবে বাজার দরের নিরিখে পাওয়া জিডিপির সাহায্যে। উল্লেখ্য, কারণ, দাম স্থির করার সময়ে উৎপাদন খরচের সঙ্গে পরোক্ষ কর যোগ হয়। আবার সরকার ভর্তুকি দিলে, তা বাদ যায় উৎপাদন খরচ থেকে। মোটামুটি ভাবে পণ্যের উৎপাদন খরচ থেকে ভর্তুকি বাদ দিয়ে কর যোগ করলে তার বাজার দর পাওয়া যায়।
উৎপাদন খরচের ভিত্তিতে পাওয়া জিডিপি দিয়ে বৃদ্ধির হিসেব নিয়ে বারবার আপত্তি জানিয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার। তারা বাজার দরের ভিত্তিতে বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়ায় ভারতে সরকারি পূর্বাভাসের সঙ্গে তার তুলনা শক্ত হত। তা ছাড়া, অধিকাংশ উন্নত দেশে এই হিসেব হয় বাজার দরের ভিত্তিতে। ভারতেও তা হলে, উন্নত দুনিয়ার সঙ্গে তুলনা সহজ হবে বলে মনে করছে তারা।
দু’টি বছরের জিডিপির তুলনা করতে অনেক সময়ে একই বছরের দাম নিয়ে তা হিসেব করা হয়। ওই বছরকেই বলে ভিত্তি বর্ষ। অনেকে মনে করছেন, তা পাল্টে ২০১১-’১২ হলে, জিডিপির বহর বাড়বে। সহজ হবে রাজকোষ ঘাটতিকে লক্ষ্যমাত্রায় বেঁধে রাখা। নতুন ভিত্তি বর্ষ অনুযায়ী ২০১১-’১২ থেকে ২০১৩-’১৪ পর্যন্ত জিডিপি কত দাঁড়াল, তা ঘোষণা করা হবে শুক্রবারই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy