Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে মূলধন জোগানোয় অগ্রাধিকার কেন্দ্রের

সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে আরও ২.৪ লক্ষ কোটি টাকা মতো মূলধন জোগানোর উপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। বিষয়টিকে রাখছে অগ্রাধিকারের তালিকায়। যাতে ‘বাসেল-থ্রি’ নীতি মানতে সমস্যার মুখে পড়তে না হয় ওই ব্যাঙ্কগুলিকে। শনিবার কানাড়া ব্যাঙ্ক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, “চার বছরের মধ্যে ব্যাঙ্কগুলিতে ওই প্রয়োজনীয় বাড়তি মূলধন ঢালার ব্যবস্থা করতে চাই। কেন্দ্র বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে।

অরুণ জেটলি। ছবি: এএফপি

অরুণ জেটলি। ছবি: এএফপি

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৪ ০১:০৮
Share: Save:

সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে আরও ২.৪ লক্ষ কোটি টাকা মতো মূলধন জোগানোর উপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। বিষয়টিকে রাখছে অগ্রাধিকারের তালিকায়। যাতে ‘বাসেল-থ্রি’ নীতি মানতে সমস্যার মুখে পড়তে না হয় ওই ব্যাঙ্কগুলিকে।

শনিবার কানাড়া ব্যাঙ্ক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, “চার বছরের মধ্যে ব্যাঙ্কগুলিতে ওই প্রয়োজনীয় বাড়তি মূলধন ঢালার ব্যবস্থা করতে চাই। কেন্দ্র বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। রাখছে অগ্রাধিকারের তালিকায়।” তাঁর দাবি, এই মূলধনের বন্দোবস্ত করতে ব্যাঙ্কগুলির শেয়ার বিক্রির পথে হাঁটতে পারে কেন্দ্র। তবে সরকারি নিয়ন্ত্রণ না-খুইয়েই তা করা হবে বলে এ দিন ফের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, জেটলির মুখে এই প্রস্তাব শোনা গিয়েছে বাজেট ঘোষণাতেও।

বাজেটে জেটলি বলেছিলেন, অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর অন্যতম প্রধান শর্ত আর্থিক স্থিতিশীলতা। তার জন্য দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে আরও পোক্ত করা জরুরি। আর সেই কারণেই ২০১৮ সালের মধ্যে সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে আরও ২.৪ লক্ষ কোটি টাকা মূলধন জোগানো প্রয়োজন। যাতে বাসেল-থ্রি নীতি মানতে তাদের অসুবিধা না হয়।

এই বিপুল মূলধন জোগাতে কেন্দ্র যে ব্যাঙ্কগুলির শেয়ার বিক্রির পথে হাঁটবে, সে কথা বাজেটেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন জেটলি। তাঁর বক্তব্য ছিল, ধাপে ধাপে ওই ব্যাঙ্কগুলির শেয়ার বিক্রির পথে হাঁটবে কেন্দ্র। যাতে সাধারণ লগ্নিকারীরাও সরাসরি তার অংশীদার হওয়ার সুযোগ পায়। তবে একই সঙ্গে তিনি বলেন, এ জন্য তাদের সরকারি চরিত্র হারাবে না ব্যাঙ্কগুলি। অর্থাৎ, সেখানে সরকারি নিয়ন্ত্রণ থাকবে। অন্তত ৫১% শেয়ার থাকবে কেন্দ্রের হাতেই।

এ দিনের অনুষ্ঠানে সকলের কাছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার উপরেও জোর দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। দেশের ৪৮% মানুষ এখনও রয়ে গিয়েছেন ব্যাঙ্কিং পরিষেবার বাইরে। এঁদের পরিষেবার আওতায় আনাতেও জোর দিচ্ছে কেন্দ্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

arun jaitley nationalized bank
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE