অপ্রত্যাশিত ভাবে সোনা আমদানিতে নিয়ন্ত্রণ কিছুটা শিথিল করল কেন্দ্র। তুলে দিল আমদানি করা কাঁচা সোনার অন্তত ২০% রফতানি করার বাধ্যতামূলক নিয়ম। এই মর্মে শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এই ৮০:২০ প্রকল্প চালু হয়েছিল গত বছরই। এ বার তা উঠে যাওয়ায় দেশে সোনার জোগান বাড়বে। ফলে দাম কমার সম্ভাবনা। তবে তা কমবেই কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলতে পারছে না স্বর্ণ শিল্পমহল। কারণ তাদের আশঙ্কা, এর বদলে আমদানি নিয়ন্ত্রণের নতুন কোনও ব্যবস্থা আনতে পারে কেন্দ্র।
অশোধিত তেলের পর সোনা আমদানি খাতেই ভারতের বিদেশি মুদ্রা খরচ হয় সর্বাধিক। ইউপিএ জমানায় বাণিজ্য ঘাটতি এবং চলতি খাতে আশঙ্কা জাগানো বিদেশি মুদ্রা লেনদেন ঘাটতিতে রাশ টানতেই চালু হয় ৮০:২০ প্রকল্প। লক্ষ্য ছিল, সোনা আমদানি কমানো। আগের তুলনায় চলতি খাতে ঘাটতি এখন কিছুটা কমেছে ঠিকই। কিন্তু তা বলে প্রকল্প যে এখনই তুলে নেওয়া হবে তা আঁচ করেননি অনেকেই। বিশেষত গত অক্টোবরে সোনা আমদানির বিল অনেকটা বাড়ার পর তাতে আরও রাশ টানা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছিল স্বর্ণ শিল্পমহল। হয়তো সেই কারণেই এ দিনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েও বিষয়টিতে কিছুটা ধোঁয়াশায় তারা।
উল্লেখ্য, ইউপিএ জমানায় বিদেশ থেকে সোনা কেনা কমাতে আমদানি শুল্ক ১০% করা হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা বসানো হয় ব্যাঙ্ক-সহ নানা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সোনা আমদানিতে। চালু হয় ৮০:২০ প্রকল্প। যাতে আমদানিকৃত সোনার ২০% রফতানির গয়না তৈরির জন্য ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক ছিল।
এ দিন স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি বাবলু দে বলেন, “এই প্রকল্প ওঠায় এ বার সোনা আমদানি বাড়বে। ছোট শহরের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাঁচা সোনা পেতে সমস্যা হচ্ছিল। তার সুরাহা হবে।” অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ফেডারেশনের ডিরেক্টর হর্ষদ আজমেরা-ও বলেন, “এই বিষয়টি তুলে দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছিলাম। কেন্দ্র কথা রাখায় আমরা খুশি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy