স্পাইসে ৫০০ কোটি টাকার পুঁজি ঢাললেন সংস্থার নতুন কর্ণধার তথা প্রতিষ্ঠাতা অজয় সিংহ। সেই সঙ্গে সংস্থা চাঙ্গা করতে শুরু করলেন নয়া পরিচালন কর্তার খোঁজও।
সম্প্রতি কলানিধি মারান ও কাল এয়ারওয়েজের কাছ থেকে সরকারি ভাবে ফের স্পাইসের মালিকানা চলে এসেছে সিংহের হাতে। সম্পন্ন হয়েছে মারানদের ৫৮.৪৬% অংশীদারির পুরোটাই তাঁর ঝুলিতে আসার প্রক্রিয়া। বৃহস্পতিবার সংস্থায় ৫০০ কোটি ঢালার পর সিংহ জানান, ধার শোধ করার পাশাপাশি এই টাকার একাংশ খরচ হবে পরিকাঠামোর উন্নতিতেও। কর্মীদের বকেয়া বেতন অবশ্য ইতিমধ্যেই মিটিয়েছেন তিনি। শোধ করেছেন তেল সংস্থার পাওনা ও বাজারে পড়ে থাকা বেশ কিছু ঋ
ণও। তবে সংস্থাকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে এ বার তাঁর পাখির চোখ স্পাইসের পরিচালন পর্ষদ ঢেলে সাজা।
বিমান পরিবহণ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, এ ধরনের সংস্থার উন্নতি অনেকটাই নির্ভর করে তার পরিচালনার উপরে। এয়ার এশিয়া থেকে ইন্ডিগো সকলের সাফল্য এসেছে দক্ষ নেতার হাত ধরেই। অথচ, স্পাইসে দেখা গিয়েছে উল্টো ছবি। ২০১৩ সালের জুলাই থেকে সংস্থার সিইও পদটি খালি। বেশ কিছুদিন ধরে সে ভাবে স্থায়ী কোনও চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসারও নেই সেখানে। অভিযোগ, গত কয়েক বছরে স্পাইসের পূর্বতন মালিক কলানিধি মারান উঁচু পদগুলিতে বহু অফিসার বদলও করেছেন। যাকে সংস্থার লোকসানের অন্যতম বড় কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, খুব কম সময়ের জন্য এত উঁচু পদে বসে কেউই সংস্থা চাঙ্গা করার জন্য সঠিক পরিকল্পনা করে উঠতে পারেননি।
এ দিন সিংহ জানিয়েছেন, এই মূহূর্তে সংস্থায় নতুন করে কর্মী নিয়োগ করা না-হলেও উঁচু পদের জন্য প্রতিভাবান পরিচালকের খোঁজ চলছে। এমনকী সংস্থা থেকে যাঁরা বেরিয়ে গিয়েছেন তাঁদের অনেকেই এখন আবার ফিরে আসতে চাইছেন বলেও জানান তিনি। তাঁর কথায়, “সেটাও আমরা বিবেচনা করে দেখছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy