অবশেষে টেলি সংস্থাগুলির একে অন্যের স্পেকট্রাম ব্যবহারে সায় দিল টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই। যার মধ্যে নতুন ও পুরনো দরে কেনা স্পেকট্রাম ছাড়াও থাকবে নিলাম ছাড়াই সরাসরি হাতে পাওয়া স্পেকট্রাম।
তবে সর্বাধিক দু’টি সংস্থাই এ ভাবে ভাগাভাগি করে পরিষেবা দিতে পারবে। আর প্রত্যেকের হাতেই থাকতে হবে ওই নির্দিষ্ট ব্যান্ডের স্পেকট্রাম। অর্থাৎ ফোর-জি স্পেকট্রাম হাতে আছে এমন সংস্থা, ওই স্পেকট্রাম না-থাকা সংস্থার সঙ্গে তা ভাগ করে নিতে পারবে না। আবার নিলাম ছাড়া সরাসরি পাওয়া স্পেকট্রাম ভাগ করতে হলে, তাতে যে-পরিষেবাগুলি নির্দিষ্ট করা রয়েছে, শুধু সেগুলিই দেওয়া যাবে। কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতরকে এই প্রস্তাব পাঠিয়েছে ট্রাই। উল্লেখ্য, এত দিন সংস্থাগুলি শুধুমাত্র একে অন্যের পরিকাঠামো (যেমন মোবাইল টাওয়ার) ব্যবহারের সুযোগ পেত।
ট্রাইয়ের প্রস্তাব ঋণভারে জর্জরিত এই শিল্পকে অক্সিজেন জোগাবে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। সে ক্ষেত্রে যাদের বেশি স্পেকট্রাম দরকার, তারা নিলামের চেয়ে কম খরচে অন্য সংস্থার বাড়তি স্পেকট্রাম ব্যবহারের সুযোগ পাবে। তেমনই যে-সব সংস্থার হাতে বাড়তি স্পেকট্রাম অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে, তারা তা অন্যকে ব্যবহার করতে দিয়ে আয় বাড়াতে পারবে। সব মিলিয়ে টেলিকম সংস্থার খরচ কমলে গ্রাহক মাসুলও কমতে পারে বলেই আশা। পরিষেবার মানও বাড়বে।
দীর্ঘ দিন ধরেই অন্যের স্পেকট্রাম ব্যবহারের দাবি তুলেছিল টেলিকম শিল্প। সাধারণ ভাবে এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও ট্রাই-এর সুপারিশ খতিয়ে না-দেখে অবশ্য বিশদে প্রতিক্রিয়া জানাতে চায়নি এই শিল্পের সংগঠন সেলুলার অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া। সংগঠনের ডিরেক্টর জেনারেল রাজন এস ম্যাথুজ এ দিন দিল্লি থেকে ফোনে বলেন, “এর ফলে সকলেই উপকৃত হবে।” তাঁর দাবি, এখন ফোন কেটে যাওয়া, সহজে ফোন না-পাওয়ার মতো যে-সব সমস্যা তৈরি হয়, তা বাড়তি স্পেকট্রাম পেলে কমবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy