এ বার কি শুধু দিন গোনা? ছবি: রয়টার্স।
সান ফার্মাসিউটিক্যালসের হাতে চলে যাওয়ার পর র্যানব্যাক্সি আর আলাদা সংস্থা থাকবে না। হস্তান্তর সম্পূর্ণ হওয়ার পর সংস্থাটিকে ঢেলে সাজার যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তারই অধীনে এই সিদ্ধান্ত বলে রবিবার জানান সান ফার্মার এক মুখপাত্র। তবে তাঁর দাবি, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাজারে র্যানব্যাক্সির তৈরি যে সব জেনেরিক ওষুধ বিক্রি হয়, তা চালিয়ে যাওয়া হবে। উল্লেখ্য, ভারত-সহ বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে ওই ওষুধ বিক্রি করে র্যানব্যাক্সি। সে কথা মাথায় রেখেই ওই ব্র্যান্ড ধরে রাখা হতে পারে বলে জানান তিনি।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, র্যানব্যাক্সি ঢেলে সাজার এই পরিকল্পনা অবশ্য সান ফার্মার নতুন নয়। অধিগ্রহণের পরই আমেরিকায় র্যানব্যাক্সির নিজস্ব ব্র্যান্ড নামের ওষুধ রফতানি বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে ধারণা ছিল তাদের। আমেরিকা এবং ইউরোপের বাজারে ইতিমধ্যেই ওষুধের মান নিয়ে সমস্যায় পড়েছে র্যানব্যাক্সি। বর্তমানে ভারতে তাদের চারটি কারখানা থেকেই মার্কিন মুলুকে রফতানি বন্ধ রয়েছে। যে কারণে আগামী দিনে তা পুরোপুরি বন্ধ করে, সংস্থার ওষুধকে সান ফার্মার ব্র্যান্ডের আওতায় আনা হতে পারে বলেও মনে করেছিল সংশ্লিষ্ট মহল। এ দিন সান ফার্মা মুখপাত্রের এই কথায় সেই সম্ভাবনাই আরও কিছুটা স্পষ্ট হল বলে মনে করছেন তারা।
এ দিকে, অধিগ্রহণের পর র্যানব্যাক্সিতে বড় মাপের কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা নেই বলেও এ দি জানিয়েছেন সান ফার্মার ওই মুখপাত্র। তাঁর দাবি, ওষুধ প্রস্তুতকারক হলেও দুই সংস্থার কাজের ক্ষেত্র কিছুটা আলাদা। সেই কারণে বিক্রি ও বিপণন-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মীরা কাজ করতে পারবেন বলেই তাঁর মত।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের প্রথম দিকেই জাপানের ওষুধ সংস্থা দায়িচি স্যাঙ্কিও-র হাত থেকে র্যানব্যাক্সিকে কিনে নেওয়ার কথা জানিয়েছে দিলীপ সাঙ্ঘভির সান ফার্মা। এ জন্য ৩২০ কোটি ডলার (প্রায় ১৯,২০০ কোটি টাকা) লগ্নি করছে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ওষুধ সংস্থাটি। এর আগে ২০০৮ সালে মালবিন্দর ও শিবিন্দর সিংহের কাছ থেকে এই র্যানব্যাক্সিকে কিনে নিয়েছিল দায়িচি।
চলতি বছরের শেষেই র্যানব্যাক্সিকে কিনে নেওয়ার প্রক্রিয়া সান ফার্মা সম্পূর্ণ করতে পারবে বলে আশা করছে জাপানি সংস্থাটি। দায়িচির ধারণা, হস্তান্তরের বিষয়টিতে আগামী জুনেই সংশ্লিষ্ট ভারতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার থেকে অনুমোদন মিলতে পারে। আর অগস্টে বৈঠক হতে পারে সান ফার্মা এবং র্যানব্যাক্সির শেয়ারহোল্ডারদের।
প্রসঙ্গত, সান ফার্মা এই অধিগ্রহণ সম্পূর্ণ করলে ভারতের বৃহত্তম ওষুধ প্রস্তুতকারক এবং বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম জেনেরিক ওষুধ সংস্থা হিসেবে পরিচিত হবে সংযুক্ত নয়া সংস্থা। র্যানব্যাক্সি-সান র্ফামা মিলিয়ে তাদের সম্মিলিত আয় দাঁড়াবে ৪২০ কোটি ডলার (২৫,২০০ কোটি টাকা)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy