Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

কুলপিতেও বন্দর চান আদানিরা

এ বারের শিল্প সম্মেলনের সূচনা মঞ্চে ছিলেন আর এক গুজরাতি মুকেশ অম্বানী। তিনিও রাজ্যে হওয়া ১৫ হাজার কোটির লগ্নির পাশাপাশি আগামী দিনে আরও ৫০০০ কোটি ঢালার প্রস্তাব দেন।



বক্তা: শিল্প সম্মেলনে প্রণব আদানি। ছবি: রণজিৎ নন্দী

বক্তা: শিল্প সম্মেলনে প্রণব আদানি। ছবি: রণজিৎ নন্দী

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:০৮
Share: Save:

কচ্ছ থেকে কুলপি।

বাণিজ্য সম্মেলনে এসে কচ্ছের মুন্দ্রা বন্দরের মাধ্যমে কী ভাবে গুজরাতের অর্থনীতি বদলে দিয়েছেন তাঁরা, সেই কাহিনি শোনালেন আদানি গোষ্ঠীর অন্যতম কর্ণধার প্রণব আদানি। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে কুলপিতেও কচ্ছের মতো বন্দর নির্মাণের প্রস্তাব দিলেন। সম্মেলন চলাকালীনই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নতুন বন্দর নির্মাণ নিয়ে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব মলয় দে। সব ঠিকঠাক চললে নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যের আদানিরা কুলপিতে বাক্সবন্দি পণ্য নামানোর বন্দর নির্মাণ করতে পারেন বলে সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়েছে।

এ বারের শিল্প সম্মেলনের সূচনা মঞ্চে ছিলেন আর এক গুজরাতি মুকেশ অম্বানী। তিনিও রাজ্যে হওয়া ১৫ হাজার কোটির লগ্নির পাশাপাশি আগামী দিনে আরও ৫০০০ কোটি ঢালার প্রস্তাব দেন। আর সম্মেলনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে আদানি গোষ্ঠীর প্রতিনিধি হিসাবে প্রণবের উপস্থিত থাকার ঘটনাও তাৎপর্যপূর্ণ বলে দাবি করছেন রাজ্যের শিল্প কর্তারা।

প্রণব আদানি বলেন, ‘‘আমরা বন্দর, কৃষি পণ্য, বিদ্যুৎ ক্ষেত্র নিয়ে বিশেষ আগ্রহী। হলদিয়ার ভোজ্য তেলের কারখানার উৎপাদন ক্ষমতাও দ্বিগুণ করেছি। সৌরবিদ্যুৎ ও বিদ্যুৎ পরিবহণ ক্ষেত্রে লগ্নি করতে চাই।’’ এর পরে তাঁর সংযোজন, ‘‘বন্দর ব্যবসায় আমরা দেশের সবচেয়ে বড় সংস্থা। যদি আমাদের সুযোগ দেওয়া হয়, তা হলে কচ্ছে মুন্দ্রা বন্দরের মাধ্যমে গুজরাতের অর্থনীতি যে ভাবে বদলে দিয়েছি সে ভাবেই এ রাজ্যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দেব।’’

যদিও কলকাতা বন্দরের কর্তারা জানাচ্ছেন, কুলপিতে ৮ মিটার নাব্যতার বন্দর সহজেই করা যায়। কিন্তু সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল, কুলপির বাক্সবন্দি পণ্য ডায়মন্ড হারবার রোড দিয়ে আনার সমস্যা। রেল লাইনও পণ্য বইবার উপযুক্ত নয়। বন্দর কর্তাদের মতে, আদানিরা পূর্ব উপকূলের ওডিশার ধামড়া বন্দর কিনেছেন। তাঁদের লক্ষ্য, কলকাতার আশপাশের কোথাও পা রাখা। এক বন্দর কর্তার কথায়, ‘‘তাজপুর বন্দর নির্মাণের ক্ষেত্রেও আদানিরা জাহাজ মন্ত্রকের সঙ্গে কথা চালাচ্ছেন বলে শুনেছি। এর পরে তাঁরা কুলপি এলে আদানিদের হাতেই পূর্ব ভারতের পণ্য পরিবহণের সিংহভাগ চলে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE