ব্যাঙ্কের সামনে কর্মীদের প্রতিবাদ।—নিজস্ব চিত্র।
সকাল থেকেই ভোগান্তি। ব্যাঙ্ক তো বন্ধই, সঙ্গে খোলেনি বেশির ভাগ এটিএম-এর দরজাও।
মঙ্গলবার দেশ জুড়ে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন্স। ওই সংগঠনের ছাতার তলায় রয়েছে ব্যাঙ্কের সাধারণ কর্মী ও অফিসারদের ৯টি ইউনিয়ন। এ দিন সকাল থেকেই রাষ্ট্রায়ত্ব, গ্রামীণ ব্যাঙ্কের পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে বেসরকারি এবং বিদেশি ব্যাঙ্কগুলি। ধর্মঘটের জেরে এ দিন ব্যাহত হচ্ছে এটিএম পরিষেবাও।
বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছিলেন, এটিএমে টাকা ভরার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু, এ দিন কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল সেগুলির দরজা বন্ধ। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, এটিএমের নিরাপত্তা রক্ষীদের ইউনিয়নও ধর্মঘটের শরিক। তাই তাঁরা কাজে আসেননি। ফলে খোলা যায়নি এটিএমগুলি।
আরও পড়ুন: তিন তালাক অসাংবিধানিক, বলল সুপ্রিম কোর্ট
এ দিন কলকাতার বিবাদিবাগে ব্যাঙ্ককর্মীরা প্রতিবাদ–মিছিলও করেন। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, পুনর্গঠনের নামে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের যে চেষ্টা করছে তারই প্রতিবাদে এই ধর্মঘট। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে ৮ লক্ষ কোটি টাকা অনাদায়ী ঋণ রয়েছে। সেই টাকা উদ্ধারে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। চাপ পড়ছে সাধারণ গ্রাহকদের উপর। বিভিন্ন পরিষেবা শুল্ক চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে গ্রাহরকের উপর। অনাদায়ী ঋণের বোঝা বইতে হচ্ছে দেশের ৫২ কোটি সাধারণ ব্যাঙ্ক গ্রাহককে। এমনকী বিভিন্ন ব্যাঙ্কে কর্মীও কম। এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার জন্য চিফ লেবার কমিশনার যে সময় দিয়েছিলেন, তা বাতিল করে দেওয়া হয়। ফলে ধর্মঘট ছাড়া তাদের হাতে কোনও উপায় ছিল না বলেই ওই সংগঠনের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy