ব্যাঙ্কের হিসেবের খাতায় যোগ হতে চলেছে আরও প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার অনুৎপাদক সম্পদ। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক তার ন’টি ঋণ গ্রহীতা সংস্থার অ্যাকাউন্টকে অনুৎপাদক সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তার জেরেই এই বোঝা বাড়ছে ব্যাঙ্কিং শিল্পের।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ মেনেই নিজেদের ঋণ সংক্রান্ত অ্যাকাউন্ট নতুন করে খতিয়ে দেখেছে বেসরকারি ব্যাঙ্কটি। ২০১৬-’১৭ সালের জন্য ঝুঁকি-নজরদারি ব্যবস্থার আওতায় এই বিশ্লেষণ করেছে ব্যাঙ্ক। সেই অনুসারে ওই ৪০ হাজার কোটির অনাদায়ী ঋণ চলে গিয়েছে অনুৎপাদক সম্পদের খাতায়। ২০১৭-র জুন পর্যন্ত হিসেবে ওই ন’টি অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৪২ হাজার কোটি টাকার অনাদায়ী ঋণ।
ব্যাঙ্কিং শিল্পের ঘাড়ে ইতিমধ্যেই চেপেছে ৮ লক্ষ কোটির অনুৎপাদক সম্পদ বা এনপিএ-র বোঝা। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক ফলাফল থেকে ইঙ্গিত মিলেছে যে, এখনই এনপিএ কমার তেমন সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এই পরিপ্রেক্ষিতে ফেরত না-আসা ঋণ আরও বাড়ায় শঙ্কিত ব্যাঙ্কিং শিল্পমহলও। মূলত ঋণ বাকি পড়েছে বিদ্যুৎ, ইস্পাত, রাস্তা তৈরির মতো পরিকাঠামো শিল্প ও বস্ত্র শিল্পে।
অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের এই ন’টি ঋণ অ্যাকাউন্টের মধ্যে ইস্পাত শিল্পের ঋণ নেওয়া একটি অ্যাকাউন্টেই বকেয়া ১,১২৮ কোটি টাকা। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের ৩টি অ্যাকাউন্টে বাকি ১৬৮৫ কোটি। আরও ৪টিতে অনাদায়ী ৯১১ কোটি। এই ৮টি অ্যাকাউন্ট বিভিন্ন ঋণদাতার জোট। আর একটি অ্যাকাউন্ট আলাদা সংস্থার।
ওই ৪০ হাজার কোটি অনুৎপাদক সম্পদের ঘরে যাওয়ার অর্থ ব্যাঙ্ককে আলাদা করে সে জন্য সংস্থান রাখতে হবে, যা তাদের ফলে ছাপ ফেলবে বলেই আশঙ্কা। উপদেষ্টা সংস্থা ম্যাকোয়্যার ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ-এর তরফে সুরেশ গণপতি জানান, ‘‘এই পরিস্থিতি ঋণদাতা ব্যাঙ্কের জোটের উপর প্রভাব ফেলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy