মোবাইল পরিষেবার গ্রাহক সংখ্যার বিচারে এখনও বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেনি বিএসএনএল। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে নতুন মোবাইল সংযোগের সংখ্যা বৃদ্ধির হারে দেশের বাকি সব সংস্থাকে পিছনে ফেলে দিল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি।
টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাইয়ের হিসেব অনুযায়ী, ওই মাসে বিএসএনএলে সংযোগ বৃদ্ধির হার ১.৬৭%। যা সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলির মধ্যে সব থেকে বেশি। পিছনে রয়েছে এয়ারটেল (১.১৮%), ভোডাফোন (১.০৪%), আইডিয়া (০.৮৫%), এয়ারসেল (০.৭২%), রিলায়্যান্স (০.৭৬%) ইত্যাদি। আর সার্বিক ভাবে শিল্পে এই বৃদ্ধির হার ০.৮৫%।
টেলিকম মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের দাবি, পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও যথাযথ নজরদারির থাকলে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাও যে প্রতিযোগিতায় বেসরকারি সংস্থাগুলিকে পিছনে ফেলে দিতে পারে, এটা তারই নমুনা।
গত অর্থবর্ষে অভিন্ন মোবাইল নম্বর প্রকল্পে (মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি বা এমএনপি) সাফল্য পেয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি। যত জন গ্রাহক বিএসনএলের পরিষেবা ছেড়েছেন, অন্য সংস্থা থেকে তার চেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ তাদের গ্রাহক হয়েছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির ক্ষেত্রে এই প্রথম এ ঘটনা ঘটল।
টেলিকম শিল্পের একাংশ মনে করছেন, ফেব্রুয়ারিতে সংস্থাটির সংযোগ বৃদ্ধি দ্রুততম হওয়ার পিছনে দুটি কারণ থাকতে পারে— ১) কল ড্রপ এড়াতে অনেকের বেসরকারি সংস্থার চেয়ে বিএসএনএলে উপর বেশি আস্থা। ২) এমএনপির সাফল্য
তবে সংযোগ বৃদ্ধির হার বেশি থাকলেও নতুন গ্রাহক সংখ্যার বিচারে কিন্তু এয়ারটেল, ভোডাফোন ও আইডিয়ার চেয়ে পিছিয়ে বিএসএনএল। ফেব্রুয়ারিতে ওই তিন সংস্থা যথাক্রমে প্রায় ২৯ লক্ষ, ২০ লক্ষ ও ১৪ লক্ষ নতুন গ্রাহককে সংযোগ দিয়েছিল। বিএসএনএল দিয়েছে ১৪ লক্ষের মতো। মোট গ্রাহক সংখ্যার বিচারেও ওই তিন সংস্থার তুলনায় পিছিয়ে বিএসএনএল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy