এনসিএলটি এ নিয়ে কী নির্দেশ দেয়, তা দেখে প্রয়োজনে আপিল আদালত, এমনকী সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুমকি কর্মী সংগঠনের
বার্ন স্ট্যান্ডার্ড গোটানোর জন্য কর্মীদের বকেয়া মেটাতে এ বার বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছে ৩৪ কোটি টাকা। সেখানে কর্মীদের দাবি, ওই অঙ্ক প্রায় ৩০০ কোটি হওয়া উচিত। একে সংস্থাকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর পরিবর্তে গুটিয়ে নেওয়ার এই চেষ্টায় ক্ষুব্ধ কর্মীরা। তার উপরে এখন বকেয়া মেটাতে এই নামমাত্র অঙ্ক ঘি ঢেলেছে সেই আগুনে। আর তাই কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আইনি পথে হাঁটার কথাও ভাবছেন তাঁরা।
বার্নের জন্য পুনরুজ্জীবন প্রকল্প তাকে তুলে রেখে এখন সংস্থা গোটানোর বন্দোবস্ত করছেন সেখানে নিযুক্ত রেজলিউশন প্রফেশনাল (আরপি)। প্রকল্পটি ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইব্যুনালে (এনসিএলটি) পেশ করা হবে। কিন্তু গোল বেধেছে বকেয়ার অঙ্ক নিয়ে।
দেখা যাচ্ছে, এ বার রেলের জন্য যে বাজেট হয়েছে, তাতে বার্ন গোটাতে তুলে রাখা হয়েছে ৪১৭ কোটি টাকা। সংস্থা সূত্রে খবর, তার মধ্যে মাত্র ৩৪ কোটি রয়েছে কর্মীদের বকেয়া মেটানোর জন্য। অথচ কর্মী ইউনিয়নগুলির দাবি, ১৯৯২ এবং ১৯৯৭ সালের বেতন সংশোধন সংক্রান্ত বকেয়া-সহ বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের কাছে কর্মীদের মোট পাওনা প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।
হিসেব অমিল
সংস্থায় তৃণমূল সমর্থিত ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি গোপাল ভট্টাচার্য এবং সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের সংগঠন বার্ন স্ট্যান্ডার্ড এক্স-অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি অনুতোষ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘রেজলিউশন প্রফেশনাল যখন কর্মীদের বকেয়া পাওনা কত, জানতে চেয়ে নোটিস দিয়েছিলেন, তখনই দাবি লিখিত ভাবে জানিয়েছি। এখানে কর্মীদের মোট পাওনা প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।’’
তাঁরা উভয়েই জানান, ‘‘২৬ ফেব্রুয়ারি এনসিএলটির শুনানিতে উপস্থিত হয়ে দাবির পক্ষে সওয়াল করব।’’ অনুতোষবাবু বলেন, ‘‘বকেয়া পাওনা মেটানোর পক্ষে আদালত সমেত একাধিক কর্তৃপক্ষ আগে মত দিলেও বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কর্তৃপক্ষ আইনের বাহানা দেখিয়ে তা এখনও কার্যকর করেননি। এনসিএলটি কী নির্দেশ দেয়, তা দেখে নিয়ে প্রয়োজনে প্রথমে আপিল আদালত এবং শেষমেশ প্রয়োজন হলে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করে রেখেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy