ফের পড়ল শেয়ার বাজার। মঙ্গলবার সেনসেক্স পড়েছে ১১২.৪৭ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময় সূচক থিতু হয় ২৭৫৩১.৪১ অঙ্কে। এই নিয়ে টানা দু’দিন পড়ল শেয়ার বাজার। ওই দু’দিনে সেনসেক্সের পতন হয়েছে ৪২৬.০৯ পয়েন্ট।
এই দিন বড় মাপের পতন হয়েছে টাকার দামেও। ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম পড়ে যায় ৪১ পয়সা। যার ফলে বিদেশি মুদ্রার বাজার বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম এসে দাঁড়ায় ৬৩.৯৮ টাকা।
এক দিকে ২০১৪-’১৫ আর্থিক বছরে বিভিন্ন শিল্প সংস্থার হতাশ করা আর্থিক ফলাফল, অন্য দিকে আমেরিকায় অচিরেই সুদের হার বৃদ্ধির ইঙ্গিত এই মুহূর্তে শেয়ার বাজারের পতনে প্রধান কারণ বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। এর সঙ্গে ন্যূনতম বিকল্প কর বা ম্যাট নিয়ে সরকার শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা শেয়ার বাজারের পতনকে তরানন্বিত করছে বলে বাজার সূত্রের খবর।
গত শুক্রবার আইটিসির আর্থিক ফলাফল নিয়ে হতাশ হওয়ার পর এই দিন টাটা মোটরসের ২০১৪-’১৫ সালের আর্থিক ফলাফল শেয়ার বাজারের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। ২০১৪-’১৫ আর্থিক বছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে দেশের অগ্রণী গাড়ি তৈরির সংস্থা টাটা মোটরসের নিট মুনাফা আগের বারের থেকে ৫৬.১৯ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। টাটা মোটরস এবং ব্রিটেনে তাদের শাখা সংস্থা জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার মিলে ওই ফলাফল করেছে। সারা বছরে তাদের নিট মুনাফা আগের বারের থেকে ৪.৭৩ কোটি টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ১৩৯৮৬.২৯ কোটি টাকা।
হালে শেয়ার বাজার থেকে বিনিয়োগ তুলে নিতে শুরু করেছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। যার জেরে হু হু করে পড়ছে শেয়ার বাজার। তবে সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর, ওই সব সংস্থা কেন্দ্রে মোদী সরকার গঠিত হওয়ার পর গত এক বছরে শেয়ার এবং বন্ড মিলে ভারতের বাজারে ২ লক্ষ ৫১ হাজার ৮০১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। অবশ্য সম্প্রতি তারা বিনিয়োগ তুলে নিতে শুরু করেছে। চলতি মাসেই তারা ১৪ হাজার কোটি টাকার শেয়ার এবং বন্ড বিক্রি করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার বকেয়া ম্যাট তাদের উপর চাপাতে পারে, এই আশঙ্কার জেরেই তারা শেয়ার এবং বন্ড বিক্রি করতে শুরু করেছে বলে সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy