সওয়াল: সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে সুরেশ প্রভু। পিটিআই
বেহাল অর্থনীতির চাকায় গতি ফেরাতে মরিয়া কেন্দ্র এ বার রাজ্যের দরজায়। প্রস্তাব, যে কোনও রাজ্য রফতানি বাড়ানোর উপযুক্ত পরিকল্পনা নিয়ে এলে, তার জন্য আর্থিক উৎসাহ দিতে পিছপা হবে না তারা।
সোমবার রাজ্যগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রফতানির উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়তে রাজ্যের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, রফতানি বাড়াতে কেন্দ্র উদ্যোগী হলেও আখেরে তার জন্য পণ্য বা পরিষেবা তৈরি হবে কোনও রাজ্য কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই।
নোটবন্দি আর তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর সাঁড়াশি আক্রমণে জোর ধাক্কা খেয়েছে দেশের অর্থনীতি। বছর শেষে বৃদ্ধির পূর্বাভাস মোটে ৬.৫%। চার বছরে সবচেয়ে কম। কর আদায় ধাক্কা খেয়েছে। রাজকোষ ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়ানোর আশঙ্কায় উপায় কম সরকারি ব্যয়ে দরাজ হওয়ার। অর্থনীতির বেহাল দশা আর প্রতিশ্রুতি মতো কাজের সুযোগ তৈরি না হওয়া নিয়েও মোদী সরকারকে বিঁধছেন বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে রফতানি চাঙ্গা করতে তাই রাজ্যের সামনে আর্থিক উৎসাহের গাজর ঝোলাতেও পিছপা হচ্ছে না কেন্দ্র।
মাথাব্যথা
• এই অর্থবর্ষে জানুয়ারি-নভেম্বরে পণ্য রফতানি বেড়েছে ১৩%। কিন্তু আমদানি বেড়েছে ১৮%। বাণিজ্য ঘাটতি ৩৩%
• জুতো সমেত বিভিন্ন চর্মজাত পণ্য, বৈদ্যুতিন পণ্য, তাজা সব্জির মতো নানা ক্ষেত্রে রফতানি কমেছে। অথচ সেখানে কাজ করেন বহু মানুষ
লক্ষ্য
• মোট রফতানিকে জিডিপির ৪০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া। ২০১৬-’১৭ সালে ছিল ১৯.২%
• ২০১৯-’২০ সালে রফতানি হোক ৯০ হাজার কোটি ডলার
প্রস্তাব
• কোনও রাজ্যের উপযুক্ত পরিকল্পনায় আর্থিক উৎসাহ
• রাজ্যের বদলে জেলাগুলিকে রফতানি কেন্দ্র হিসেবে ধরা
• বিদেশে নিজেদের পণ্য বিপণনে জোর দিক রাজ্যগুলি। কাজে লাগাক কেন্দ্রীয় সাহায্য
• বিদ্যুৎ মাসুল রিফান্ডে জোর দিতে পারে রাজ্যগুলি। উপকূলবর্তী না হলে, কেন্দ্রের টাকায় ভাবতে পারে পরিবহণে ভর্তুকি জোগানোর কথাও
বিশেষজ্ঞদের মতে, রফতানি চাঙ্গা হলে বৃদ্ধির হারকে তা কিছুটা ঠেলে তুলতে পারে। কমবে বাণিজ্য ঘাটতি। ফলে আশঙ্কা কমবে বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ারে টান পড়ার। তা ছাড়া, চর্মজাত পণ্যের মতো ক্ষেত্রের রফতানির হাল ফিরলে কাজের সুযোগেরও সংখ্যাও বাড়বে বহু। তাঁদের মতে, এক ঢিলে অনেক পাখি মারতেই এখন কেন্দ্রের এই প্রস্তাব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy