Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
চিন্তা জিএসটির ক্ষোভ

সমাধানের লক্ষ্যে নজর গুয়াহাটিতে

এই প্রবল চাপের মুখে দেশজুড়ে ব্যবসায়ীদের জিএসটি-ক্ষোভে জল ঢালতে এ বার সুর আরও নরম করতে চাইছে মোদী সরকার। এ জন্য তাদের উপর চাপ রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বেরও

চিন্তিত: অসমে কি তবে সুর নরমের ইঙ্গিত। ফাইল চিত্র।

চিন্তিত: অসমে কি তবে সুর নরমের ইঙ্গিত। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:২৯
Share: Save:

শিয়রে বিধানসভা ভোট। তা-ও আবার প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে। যে গুজরাতে জিএসটি নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ব্যবসায়ীদের বড় অংশ। এই প্রবল চাপের মুখে দেশজুড়ে ব্যবসায়ীদের জিএসটি-ক্ষোভে জল ঢালতে এ বার সুর আরও নরম করতে চাইছে মোদী সরকার। এ জন্য তাদের উপর চাপ রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বেরও। তাই ১০ নভেম্বর গুয়াহাটিতে জিএসটি পরিষদের বৈঠকে এ নিয়ে বেশ কিছু নতুন ঘোষণার সম্ভাবনা।

আমজনতা ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বেশ কিছু পণ্য-পরিষেবায় ২৮% করের চড়া হারের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হোক। অনেক ক্ষেত্রে আবার অভিযোগ, জিএসটি দিতে হচ্ছে সর্বোচ্চ খুচরো মূল্যের (এমআরপি) উপরে। দু’ক্ষেত্রেই নতুন ঘোষণা হতে পারে। নিয়ম করে দেওয়া হতে পারে যে, এমআরপি-র উপরে আর জিএসটি আদায় করা চলবে না।

এখন বছরে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যবসায় তিন মাসে একবার রিটার্ন ফাইলের সুবিধা আছে। এ বার সকলের জন্যই একই সুবিধা দেওয়া হতে পারে। রিটার্ন ফাইলে দেরির ক্ষেত্রে কমতে পারে জরিমানার অঙ্কও। ছোট ও মাঝারি শিল্পকে স্বস্তি দিতে কিছু নিয়ম সরল করা হতে পারে। এ দিন বাড়ানো হয়েছে জুলাইয়ের জিএসটি রিটার্ন জমার সময়সীমাও।

ঘোষণা

• জুলাইয়ের জিএসটি রিটার্ন ফর্ম (জিএসটিআর-২ এবং ৩) জমার সময়সীমা বাড়িয়ে করা হল ৩০ নভেম্বর ও ১১ ডিসেম্বর

পরিকল্পনা

• পণ্য-পরিষেবার সর্বোচ্চ খুচরো মূল্যের (এমআরপি) উপরে যাতে জিএসটি আদায় না-হয়, জারি হতে পারে সেই নিয়ম

• যে সমস্ত পণ্য-পরিষেবায় ২৮% কর, তাদের তালিকা পর্যালোচনা। লক্ষ্য, বেশ কিছুর কর কমানোর

• সকলের জন্যই তিন মাসে এক বার রিটার্ন ফাইলের সুবিধা

• তাতে দেরির জরিমানা ১০০ থেকে কমিয়ে ৫০ টাকা করা

• কম্পোজিশন প্রকল্পের আওতায় থাকা উৎপাদনকারী, রেস্তোরাঁ, ব্যবসায়ীদের জন্য কর কমানো

• ছোট-মাঝারি শিল্পের জন্য আরও কিছু নিয়ম সরল করা

জিএসটি-তে আমজনতাকে সুরাহা দেওয়ার এই কৃতিত্ব কোনও ভাবে বিজেপি হাতছাড়া করতে নারাজ। আমজনতা, ছোট ব্যবসায়ীদের স্বস্তি দেওয়ার রাস্তা খুঁজতে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে একটি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল। যার প্রধান অসমের বিজেপি অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সেখানে আছেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী, ছত্তীসগঢ়ের রাজস্বমন্ত্রী অমর অগ্রবাল, জম্মু-কাশ্মীরের অর্থমন্ত্রী হাসিব দ্রাবুও। প্রথম দু’জন বিজেপির, তৃতীয় জন এনডিএ শরিক পিডিপি-নেতা। দলছুট শুধু পঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী কংগ্রেসের মনপ্রীত সিংহ বাদল। এই মন্ত্রিগোষ্ঠীই রবিবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যে সব রেস্তোরাঁ ও ছোট কারখানার ব্যবসা বছরে ১ কোটির কম, তাদের জন্য ১% জিএসটি ধার্য হোক। এখন যা ৫% ও ২%। এখন ওই মন্ত্রিগোষ্ঠীই চাইছে, ২৮% জিএসটি-র তালিকা পর্যালোচনা হোক। অর্থাৎ, বেশ কিছু পণ্য-পরিষেবায় করের হার কমার সম্ভাবনা।

কমিটি চাইছে, এমআরপি-র উপর জিএসটি আদায় বন্ধ হোক। অর্থ মন্ত্রকের কাছে অভিযোগ, বেশ কিছু রেস্তোরাঁয় খাবারের দামে, জলের বোতলে ১৮% জিএসটি আদায় করা হচ্ছে। বহু ওষুধের দোকান, শপিং মলেও এমআরপি-র উপর বিভিন্ন হারে জিএসটি নেওয়া হচ্ছে। কমিটি চায় এটি বন্ধ হোক। যা সর্বত্র প্রযোজ্য হবে। এতে আমজনতার হেনস্থা বা ঠকে যাওয়ার আশঙ্কা কমবে বলেই তাদের দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

GST GST Roll out Narendra Modi Arun Jaitley
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE