Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিরপেক্ষ নেট পরিষেবা নিয়ে কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট শীঘ্রই

নিরপেক্ষ ইন্টারনেট পরিষেবা বা নেট নিউট্রালিটি নিয়ে আগামী মাসের শুরুতেই রিপোর্ট জমা দেবে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষজ্ঞ কমিটি। সোমবার এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ। মন্ত্রী বলেন, গত জানুয়ারিতেই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কমিটি গড়া হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১১
Share: Save:

নিরপেক্ষ ইন্টারনেট পরিষেবা বা নেট নিউট্রালিটি নিয়ে আগামী মাসের শুরুতেই রিপোর্ট জমা দেবে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষজ্ঞ কমিটি। সোমবার এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ।

মন্ত্রী বলেন, গত জানুয়ারিতেই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কমিটি গড়া হয়েছে। যার কাজ হবে নেট নিউট্রালিটির সুবিধা-অসুবিধা বিচার করা। পাশাপাশি, সকলের দরজায় নেট পরিষেবা পৌঁছে দিতে হলে কোনও পক্ষকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া চলবে না বলেও এ দিন মন্তব্য করেন প্রসাদ।

সম্প্রতি টেলি পরিষেবা সংস্থা এয়ারটেল বিশেষ প্রকল্প ‘এয়ারটেল জিরো’ আনার পর থেকে নেট নিউট্রালিটি নিয়ে বিতর্ক গতি পেয়েছে। এই প্রকল্পে অ্যাপ নির্মাতা সংস্থাগুলিকে এয়ারটেলের সঙ্গে জোট বেঁধে নিজেদের পরিষেবা দিতে হলে টাকা দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এতে ঝামেলায় পড়বে ছোট সংস্থাগুলি (স্টার্ট আপ)। বরং বাড়তি সুবিধা পেতে পারে কয়েকটি বড় সংস্থা। পাশাপাশি, এই প্রকল্পে যে যে সংস্থা নাম নথিভুক্ত করবে, তাদের অ্যাপই বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহক। ফলে ধাক্কা খাবে নেট নিউট্রালিটির ধারণা।

উল্লেখ্য, নেট নিউট্রালিটির মূল কথাই হল ইন্টারনেটে সব ধরনের পরিষেবার জন্য একই মাসুল হার ধার্য করা। অর্থাৎ এর আওতায় কোনও টেলি পরিষেবা সংস্থা আলাদা আলাদা ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশনের (অ্যাপ) জন্য আলাদা আলাদা মাসুল ধার্য করতে পারবে না। কোনও সংস্থা বা ব্যক্তির বিশেষ সুবিধা মিলবে না। বরং নেট পরিষেবা পেতে এক বার টাকা দিলেই সব ধরনের সাইট ও অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন গ্রাহক। কিন্তু এয়ারটেলের ক্ষেত্রে তা হবে না বলেই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

ডিসেম্বরেও অ্যাপ ব্যবহার করে নেটে ফোন করতে নতুন মাসুল চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এয়ারটেল। চাপে পড়ে তখন সেই প্রকল্প তুলে নেয় এয়ারটেল। কয়েক মাস আগে ফেসবুকের সঙ্গে জোট বেঁধে কিছু নির্দিষ্ট সাইট নিখরচায় ব্যবহারের সুবিধা দেওয়ার প্রকল্প ঘোষণা করে রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্সও। তার বিরুদ্ধে ওয়েবসাইটও তৈরি করেন ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা। এর পরই নেট নিউট্রালিটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য জানতে চায় ট্রাই। তার পর থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ১ লক্ষেরও বেশি ই-মেল গিয়েছে তাদের কাছে।

তবে এর উল্টো ছবিও রয়েছে। ভারত-সহ সারা বিশ্বেই মোবাইল পরিষেবা সংস্থাগুলির দাবি, তাদের নেট পরিষেবার উপর ভিত্তি করেই বিভিন্ন অ্যাপ কাজ করে। কিন্তু কিছু অ্যাপে ফোন ও বার্তা পাঠানোর সুবিধা থাকায় সংস্থাগুলির মুনাফায় টান পড়ছে। যে কারণে কয়েক মাস আগেই ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ, লাইন এবং স্কাইপের মতো অ্যাপগুলিকে নিয়ন্ত্রকের অধীনে আনার পক্ষেও সওয়াল করেছিল তারা। দু’পক্ষের কথা শুনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে এ দিন জানিয়েছেন প্রসাদ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE