হাসমুখ আঢিয়া
এক ধরনের পণ্যে (বিশেষত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ক্ষেত্রে) একই কর। ছোট শিল্প ও ব্যবসায়ীদের জিএসটি-সমস্যা কিছুটা সমাধানের বন্দোবস্ত। আর ২৮ শতাংশের চড়া হারের আওতা থেকে বেশ কিছু পণ্যকে বার করে আনা। জিএসটি নিয়ে সারা দেশে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ সামাল দিতে মূলত এই সমস্ত প্রস্তাব রাজ্যগুলির কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্র।
বিভিন্ন পণ্যের উপর জিএসটির তারতম্য ঘুচিয়ে তা আরও সরল করার পরিকল্পনা আগেই বলেছেন কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব হাসমুখ আঢিয়া। রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের সম্প্রতি এ সংক্রান্ত ‘অ্যাপ্রোচ পেপার’ দিয়েছে করেছে জিএসটি পরিষদ। সেখানে একই গোত্রের বিভিন্ন পণ্যের উপর করের হারে সামঞ্জস্য আনার কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রের প্রস্তাব অনুযায়ী, ফিটমেন্ট কমিটির হাতে প্রায় এক লক্ষ পণ্যের তালিকা আছে। দেখা যাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রেই একই ধরনের পণ্যে নানা হারে কর ধার্য হয়েছে। এর মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে করের হারে সাম্য আনাই হবে প্রধান লক্ষ্য।
এক কর্তা জানাচ্ছেন, এখন যেমন লোহার হাতা, কাঠের হাতা, স্টিলের হাতা, অ্যালুমিনিয়ামের হাতার কর কাঠামো ভিন্ন। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে তো সেটা হাতা-ই। ফলে সব ধরনের হাতার ক্ষেত্রে একই কর হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু সমস্যাও আছে। যেমন, সোনা আর অ্যালুমিনিয়ামের চামচে তো কর এক হতে পারে না। এ সবই ফিটমেন্ট কমিটি বিবেচনা করবে। রাজ্যের অর্থ দফতরের এক কর্তা অবশ্য বলেন, ‘‘এখন আর অ্যাপ্রোচ পেপারের উপর কিছু নির্ভর করছে না। অনেক সময়ই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।’’
যে সব রাজ্য কোনও পণ্যের কর কমাতে চেয়েছে, তাদের কাছে তা কমানো হলে রাজস্বে প্রভাব কী হবে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের প্রস্তাব, বিলাসসামগ্রী বা কখনও-সখনও কিনতে হয়, এমন পণ্যেই ২৮% কর থাকুক। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে নয়। গুয়াহাটিতে এ নিয়ে কথা হবে কি না, তা অবশ্য জানায়নি কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy