ছবি: সংগৃহীত
একে জিএম ভারতে গাড়ি বিক্রি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে ডিলারদের। তার উপর এ জন্য যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলেছে সংস্থা, তাতে ক্ষুব্ধ তাঁরা। আর তাই এ সবের প্রতিবাদ জানাতে আজ, মঙ্গলবার দিল্লির যন্তর-মন্তরে ধর্নায় বসছেন জিএম ডিলাররা। ফেডারেশন অব অটোমোবাইল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ফাডা) দাবি, দেশের গাড়ি শিল্পে এ ধরনের ঘটনা আগে ঘটেনি। ডিলারদের এমন বিক্ষোভ কর্মসূচিও নজিরবিহীন।
জিএম অবশ্য সোমবারও জানিয়েছে, ক্রেতাদের স্বার্থে তারা ডিলারদের উপযুক্ত ‘প্যাকেজ’ দেবে। এবং নির্দিষ্ট পদ্ধতির ভিত্তিতে তা আলাদা ভাবে প্রত্যেক ডিলারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। যাতে যে সমস্ত ক্রেতার গ্যারাজে শেভ্রলে (এই ব্র্যান্ডেই ভারতে গাড়ি বেচে জিএম) আছে, তাঁরা আগামী দিনে প্রয়োজনীয় পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন। জিএম ভারতে ডিসেম্বরের মধ্যে গাড়ি বিক্রি বন্ধের ঘোষণা করার পরেই ঘুম উড়েছে এই সব ক্রেতাদেরও। তাঁরা বুঝতে পারছেন না গাড়ি জলের দরে বেচে দেবেন, না কি আপাতত রেখে পরিস্থিতি মাপবেন।
জিএম ডিলার ও ক্রেতাদের গাড়ির পরিষেবা দেওয়া নিয়ে আশ্বাস দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু ডিলারদের অনেকেরই দাবি, এই ব্যবস্থা বেশি দিন চালানো কার্যত অসম্ভব। বিশেষ করে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক যেখানে নগণ্য। ডিলারদের মোট লগ্নির মাত্র ১২%। আবার ১৫ জুলাইয়ের পরে ক্ষতিপূরণ নিলে তা ৫০% কমবে। আর ১৫ সেপ্টেম্বরের পরে একটা টাকাও মিলবে না। সংস্থার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, বিষয়টি ‘গোপনীয়’ বলে তারা মুখ খোলেনি।
ফাডার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নিকুঞ্জ সাংভির দাবি, জিএমের সিদ্ধান্তে কাজ যাবে ডিলার সংস্থার প্রায় ১৫ হাজার কর্মীর। যাঁদের দায় নিচ্ছে না সংস্থা। তিনি বলেন, ‘‘গত দু’বছর ডিলারদের ব্যবসা প্রায় নেই। ক্ষতিপূরণও নামমাত্র। আগামী দিনে অনেকেই দেউলিয়া হয়ে যাবেন। অথচ সংস্থাটি ভারতে দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসা করতে এসেছে বলেই আশ্বাস দিয়েছিল।’’
এ দিকে, দেশে বিক্রি বন্ধ করার পথে হাঁটলেও, পূর্ব ঘোষণা মতো তালেগাঁও-এর কারখানায় তৈরি গাড়ি রফতানি শুরু করল জিএম। সংস্থা সূত্রের খবর, এ দিনও ১২০০টি গাড়ি লাতিন আমেরিকার উদ্দেশ্যে
পাড়ি দিয়েছে। সেখানকার বিভিন্ন দেশে বাঁ-হাতি স্টিয়ারিংয়ের গাড়ির বাজারে আগেই শেভ্রলে-বিট রফতানি করেছে সংস্থাটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy