অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করার কিছুটা আশা জাগিয়ে নভেম্বরে ৮.৪ শতাংশে পৌঁছে গেল শিল্প বৃদ্ধির হার। গত ১৭ মাসে সর্বোচ্চ। কিন্তু কেন্দ্রকে স্বস্তি দেওয়ার এই পরিসংখ্যান প্রকাশের দিনেই কাঁটা হয়ে বিঁধে রইল মূল্যবৃদ্ধি। ডিসেম্বরে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার দাঁড়াল ৫.২১%। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লক্ষ্যমাত্রার থেকে (৪%) যা অনেকটা বেশি। তাই অদূর ভবিষ্যতে এখন শীর্ষ ব্যাঙ্কের সুদ ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা সে ভাবে রইল না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অথচ তার পক্ষে আজ দীর্ঘ দিন ধরে জোরালো সওয়াল করে আসছে মোদী সরকার ও শিল্পমহল।
হালে বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.৫ শতাংশে নামাতে বাধ্য হওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়েছে কেন্দ্র। অভিযোগ উঠেছে, নোটবন্দি আর তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর জোড়া ভুলেই শয্যাশায়ী হয়েছে অর্থনীতি। ধুঁকছে শিল্প। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ৮.৪% শিল্প বৃদ্ধির হার নিঃসন্দেহে স্বস্তি দেবে মোদী সরকারকে। বিশেষত পরিসংখ্যানে যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, কল-কারখানায় উৎপাদনে কিছুটা প্রাণ ফিরেছে। বৃদ্ধি ১০.২%। আগের বছর একই সময়ে তা ছিল ৪%। মূলধনী পণ্যের উৎপাদন বেড়েছে ৯.৪%। আগের বারের একই সময়ের (৫.৩%) তুলনায় যা অনেক বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কল-কারখানায় উৎপাদন বাড়লে, কাজের সুযোগ বাড়ে। আর মূলধনী পণ্য বেশি তৈরি হওয়া মানে আগামী দিনে লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা। কিন্তু তেমনই একই সঙ্গে তাঁরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে, আগের বছর এই একই সময়ে শিল্প বৃদ্ধির হার ছিল একেবারে কম। তাই পাকাপাকি ভাবে শিল্প ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলার আগে আর একটু অপেক্ষা করার পক্ষপাতী অনেকে।
বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি আর শিল্পের জন্য সস্তায় ঋণের বন্দোবস্ত করতে সুদ কমানোর জন্য শীর্ষ ব্যাঙ্ককে বহু দিন ধরেই আর্জি জানাচ্ছে শিল্পমহল। একমত কেন্দ্রও। কিন্তু মূলত ডিম, আনাজ এবং ফলের দাম বাড়ার কারণে মূল্যবৃদ্ধি যে ভাবে ৫.২১ শতাংশে পৌঁছেছে (নভেম্বরে ছিল ৪.৮৮%), তাতে সেই সম্ভাবনায় আপাতত দাঁড়ি পড়ে গেল মনে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy