উত্তাল: কৃষক বিক্ষোভে জ্বলছে মন্দসৌর। —ফাইল চিত্র।
দেশ জুড়ে কৃষক বিক্ষোভের সঙ্গে নোট বাতিলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। উল্টে তাঁর যুক্তি, দেশে রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন হওয়ার জেরেই দাম কমেছে ফসলের। চাপে পড়েছেন চাষিরা।
ফসলের দাম থেকে ঋণ মাফ— নানা দাবিতে সারা দেশেই আন্দোলনে নেমেছেন কৃষকেরা। যে কারণে ঘাড়ে বিপুল রাজকোষ ঘাটতির বোঝা সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, পঞ্জাবের মতো রাজ্যগুলিকে ঋণ মকুবের পথে হাঁটতে হয়েছে। অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করেন, কৃষকদের এই হাহাকারের পিছনে নোট বাতিল অন্যতম কারণ। যার জেরে নগদের জোগান কমায় সার-বীজ কিনতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন তাঁরা। ফসলের ক্রেতারা দাম না-মেটাতে পারায় রোজগারও হারাতে হয়।
এই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দিল্লিতে এবিপি নিউজের জিএসটি সম্মেলনে জেটলির প্রশ্ন, ‘‘নভেম্বরে নোট বাতিলের পরে নগদ-সমস্যা ছিল মূলত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে। তখন তো কৃষকদের বিক্ষোভ হয়নি! এখন হচ্ছে কেন?’’ তাঁর মতে, বেশি ফসল বাজারে ঢোকায় দাম পড়েছে। তাই তাঁরা ঋণ মকুব চাইছেন। দাবি করছেন, ফসলের বেশি দাম।
ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানোর দাবিতে দানা বাঁধা আন্দোলন থামাতে মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌরে কৃষকদের উপর গুলি চলেছিল। সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান এ দিন বলেন, ‘‘এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। এখন কৃষকদের সঠিক ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়ার চেষ্টা করছি।’’ তবে একের পর এক রাজ্যের ঋণ মাফের জেরে রাজ্যের ঘাটতি লাগামছাড়া হলে অর্থনীতির কী গতি হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আজ জেটলি বলেন, ‘‘শীর্ষ ব্যাঙ্ক অর্থনীতির যুক্তিতে হয়তো ঠিকই বলছে। কিন্তু রাজনৈতিক, সামাজিক বাস্তব খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy