র্যাঙ্গলারের পাশে সংস্থা-কর্তা ফ্লিন।
ভারতের সঙ্গে নামটির যোগ দীর্ঘ দিনের। প্রায় দেশের স্বাধীনতার পরপরই। এ বার নতুন করে ভারতের বাজারে পা রাখল ‘জিপ’। যদিও একেবারে নতুন ভাবেই ‘জিপ’ ব্র্যান্ড-কে এ দেশে হাজির করল সেটির প্রস্তুতকারক ইতালীয়-মার্কিন বহুজাতিক ফিয়াট-ক্রাইসলার অটোমোবাইলস (এফসিএ)।
চলতি বছরেই জিপ ব্র্যান্ডটি ভারতে আনার কথা জানিয়েছিল এফসিএ। মঙ্গলবার যোধপুরে আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতে এল জিপ-এর দুটি ‘স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল’ (এসইউভি)— র্যাঙ্গলার ও গ্র্যান্ড চেরোকি। আপাতত পুরোদস্তুর আমদানি করা হলেও আগামী বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে রঞ্জনগাঁওয়ে ফিয়াটের কারখানায় সেগুলি তৈরি হবে।
এ দেশে এক সময়ে উইলিস সংস্থার কাছ থেকে জিপ গাড়ি আমদানি করত ভারতের মহীন্দ্রা গোষ্ঠী। পরে এ দেশে তারা তা তৈরিও শুরু করে। মাঝে তা বন্ধ হয়ে গেলেও বছর কয়েক আগে ‘থর’ ব্র্যান্ড-নামে তারা নতুন করে তৈরি শুরু করেছে জিপের মতো গাড়ি। তবে ফিয়াটের জিপ ব্র্যান্ড সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ বছরের গোড়ায় দিল্লির অটো এক্সপো-য় গাড়িগুলি প্রদর্শন করেছিল ফিয়াট।
ফিয়াটের ভারতীয় শাখার এমডি কেভিন ফ্লিন এ দিন বলেন, ‘‘বিশ্বে এসইউভি তৈরিতে পথপ্রদর্শক জিপ। রঞ্জনগাঁও-এর কারখানায় স্থানীয় ভাবে গাড়িগুলি উৎপাদনের জন্য আমরা সেখানে ২৮ কোটি ডলার খরচ করেছি। সেই পরিকল্পনা ঠিক মতোই এগোচ্ছে।’’
ভারতে এখন বড় ও দামি গাড়ির বাজার ক্রমশ ছড়াচ্ছে। এমনকী অপেক্ষাকৃত ছোট শহরেও। আধুনিক প্রজন্মের হাত ধরে গাড়ি শুধু আর গন্তব্যে পৌঁছনোর হাতিয়ার নয়। বরং গাড়ি চালানোর শখটাকেই পুরোদস্তুর উসুল করতে চায় তরুণ প্রজন্ম। ফলে বছর কয়েক আগেই ‘এসইউভি’-র মতো বড় গাড়ির চাহিদাও বেড়েছে। সেই বাজারকে ধরতে উদ্যত দেশি-বিদেশি সব সংস্থাই। দৌড়ে পিছিয়ে নেই প্রায় ৭৫ বছরের পুরনো ব্র্যান্ড জিপ-ও। উল্লেখ্য, এফ সি এ-র ভাঁড়ারে জিপ-এর সঙ্গেই আলফা রোমিও, আবার্থ, ক্রাইসলার, ফিয়াট, ল্যান্সিয়া-র মতো ব্র্যান্ডের পাশাপাশি ফেরারি এবং মাসারেত্তি-ও রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy