নোট নাকচের দৌলতে আয়করদাতার সংখ্যা বেড়েছে বলে বড়াই করে মোদী সরকার। কিন্তু সেই দাবি আদৌ কতটা সত্যি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল সরকারেরই আর্থিক সমীক্ষা।
সেখানে হিসেব বলছে, এ বছর নতুন আয়করদাতার সংখ্যা বেড়েছে ৫.৪ লক্ষ। কিন্তু তা বলে আয়করদাতা বা দেশের জিডিপি-র সাপেক্ষে করের অনুপাত বাড়বে কি না, তা নিয়ে মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যন সংশয়ী। তাঁর কথায়, নতুন আয়করদাতাদের সিংহভাগেরই দাবি, তাঁদের রোজগার করযোগ্য নয়।
বহু কর বিশেষজ্ঞের মতে, এঁরা আসলে নতুন করদাতা নন। গরিবদের জনধন অ্যাকাউন্টকে কাজে লাগিয়ে কালো টাকার পুরনো নোট জমা পড়েছে। এমন ভাবে, যাতে একটি অ্যাকাউন্টে আড়াই লক্ষের বেশি না যায়। তাই আগামী বছরে এই ‘নতুন করদাতাদের’ দেখা মিলবে না বলে তাঁদের ধারণা। সুব্রহ্মণ্যনও মানছেন, আগামী বছরেই ছবিটা স্পষ্ট হবে।
আরও পড়ুন: পহলাজ-রাজ শেষ, সেন্সরের দায়িত্বে প্রসূন
এ ছাড়া, নোট বাতিলের ফলে অসংগঠিত ক্ষেত্রে ধাক্কা লেগেছে বলে মেনেছে সমীক্ষা। তাতে কত জনের কাজ গিয়েছে বলা হয়নি। তবে কাজ হারিয়ে অনেকে যে একশো দিনের কাজে ভরসা করেছিলেন, সেটা স্পষ্ট। দেখা যাচ্ছে, নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশার মতো রাজ্যে একশো দিনের কাজের চাহিদা বিপুল বেড়েছিল। শ্রমদিবস বেড়েছিল ৩০%।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy