ক্ষুদ্র-ঋণ সংস্থার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ধার দেওয়ার উপর জোর দিচ্ছে রাজ্য। এর জন্য ব্যাঙ্কগুলি প্রতিটি ক্ষুদ্র-ঋণ সংস্থায় কত টাকা ঋণ দিচ্ছে, তা এ বার থেকে নিয়মিত স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির কাছে তাদের জানাতে হবে। পাশাপাশি, প্রতিটি ব্যাঙ্ককে এখন থেকে ক্ষুদ্র-ঋণ সংস্থাকে দেয় ধারের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করতে হবে বলেও জানিয়েছে রাজ্য। সম্প্রতি কলকাতায় ক্ষুদ্র-ঋণ সংস্থা নিয়ে আলোচনাসভার শেষে এ কথা জানান বন্ধন ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান এবং অ্যাসোসিয়েশন অব মাইক্রো ফিনান্স ইনস্টিটিউশনের সেক্রেটারি চন্দ্রশেখর ঘোষ।
রাজ্যে ক্ষুদ্র-ঋণ সংস্থাগুলির ব্যবসা বাড়ানোর বিরাট সুয়োগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ক্ষুদ্র-ঋণ সংস্থা ভিলেজ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের এমডি কুলদীপ মাইতি। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে সংস্থাগুলির ব্যবসা বাড়ানোর যে-সুযোগ রয়েছে, এ পর্যন্ত তার মাত্র ২০% ব্যবহার করা হয়েছে।’’
কেন্দ্রের জন-ধন যোজনায় দেশের প্রতি ২ হাজার জনসংখ্যার জন্য একটি করে ব্যাঙ্কের শাখা অথবা প্রতিনিধিমূলক অফিস খোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে ক্ষুদ্র-ঋণ সংস্থার সমস্যা হবে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে কুলদীপবাবু বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কের তুলনায় ক্ষুদ্র-ঋণ সংস্থার কাছ থেকে অনেক সহজে ঋণ পাওয়া যায়। একটি ঋণ শেষ হলে ক্ষুদ্র-ঋণ সংস্থার কাছ থেকে চটজলদি আর একটি ঋণ পেতেও গ্রাহকদের কোনও অসুবিধা হয় না। তা ছাড়া আমরা গ্রাহকদের দোরগোড়ায় গিয়ে পরিষেবা দিই, যেটা ব্যাঙ্কের পক্ষে করা কঠিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy