ভারতে এই নিয়ে টানা চার সপ্তাহ সে রকম চাহিদা দেখা গেল না সোনার বাজারে। একই সঙ্গে চিনেও হলুদ ধাতুটির সে রকম চাহিদা দেখা না-দেওয়ায় মাথায় হাত স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের।
ভারতে সম্প্রতি শুরু হয়েছে পিতৃপক্ষ। যা দু’সপ্তাহ চলবে। এই সময়ে সাধারণত সোনা বা অন্যান্য সম্পত্তি কেনা থেকে বিরত থাকেন মানুষ। পাশাপাশি, বৃষ্টি আশানুরূপ না-হওয়ার কারণে মার খেয়েছে চাষের কাজও। যে কারণে গ্রামাঞ্চলে মানুষ সোনা কিনতে এগোচ্ছেন না। ফলে কম দামে সোনা পাওয়া গেলেও, তা সে ভাবে বিক্রি হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন মুম্বই জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কুমার জৈন।
অন্য দিকে হংকং-এর এক ব্যবসায়ীর কথায়, সোনার দাম কমার জেরে আরও বেশি করে তা আমদানি করেছেন তাঁরা। কিন্তু ক্রেতা না-থাকায় এখন তা বিক্রি করতেই হিমসিম খাচ্ছেন। বরং ব্যবসায়ীদের কাছে এখন চাহিদার তুলনায় বেশি সোনা মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিশেষত চিনা অর্থনীতি নিয়ে আশঙ্কার জেরে এখন বেশির ভাগ ক্রেতাই খরচে ভয় পাচ্ছেন, যা প্রভাব ফেলেছে চাহিদায়। প্রসঙ্গত, এই দুই দেশেই পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক সোনার চাহিদা দেখতে পাওয়া যায়।
তবে এই পরিস্থিতি আগামী দিনে শোধরাবে বলে আশা সংশ্লিষ্ট মহলের। তাদের দাবি, ভারতে উৎসবের মরসুম শুরু হয়ে গেলে চাহিদা বাড়বে। এর পর রয়েছে বিয়ের মরসুমও। যার জেরে বিক্রি বাড়বে বলে তাদের আশা। পাশাপাশি, একই ভাবে চিনেও শুরু হয়েছে এক সপ্তাহ ব্যাপী ছুটি। এই সময়ে সাধারণত সেখানকার মানুষ বেশি খরচ করেন। আগামী বছরের শুরু পর্যন্ত সেই চাহিদা বজায় থাকবে বলেই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy