প্রথম দেখা। দিল্লিতে ক্রেতারা। ছবি: রয়টার্স
দেশে কম দামি স্মার্ট ফোনের বাজারে প্রতিযোগিতা আরও বাড়াল গুগলের অ্যান্ড্রয়েড-ওয়ান। ভারতই প্রথম দেশ যেখানে সোমবার এই ফোন বাজারে আনল মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটি। এ জন্য মাইক্রোম্যাক্স, কার্বন মোবাইলস ইন্ডিয়া এবং স্পাইস মোবিলিটির মতো দেশীয় সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে তারা। ফোনগুলির দাম ৬,৩০০ টাকার সামান্য বেশি।
এর আগে বিভিন্ন সংস্থা অ্যান্ড্রয়েড প্রযুক্তি চালিত কম দামি ফোন আনলেও, সেগুলিতে নিজেদের প্রয়োজন অনুসারে হার্ডওয়্যার ও অ্যান্ড্রয়েড প্রযুক্তির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করেছে তারা। কিন্তু গুগলের অ্যান্ড্রয়েড-ওয়ান ফোনগুলির গুণমান বাড়াতে সফটওয়্যার তো বটেই, এমনকী হার্ডওয়্যারের মাপকাঠি স্থির করে দেবে সংস্থা নিজেই। ফলে অন্যান্য সংস্থা হ্যান্ডসেট আনলেও, বজায় থাকবে গুগলের ওই মাপকাঠি। সংস্থার দাবি, এর ফলে ক্রেতারা আরও বেশি করে অ্যান্ড্রয়েড প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পারবেন (যেমন, ২ বছর পর্যন্ত ক্রমাগত উন্নত হবে সফটওয়্যার)। সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুন্দর পিচাইয়ের দাবি, কম দামে উন্নত প্রযুক্তি ও নেট পরিষেবা পৌঁছে দিতে অ্যান্ড্রয়েড-ওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।
অ্যান্ড্রয়েড কিটক্যাট প্রযুক্তি চালিত এই নতুন ফোনটিতে ভরা যাবে দু’টি সিম কার্ড। থাকবে ৪.৫ ইঞ্চি স্ক্রিন ও ১ জিবি র্যাম। ৪ জিবি তথ্য ভরা যাবে, যা বাড়ানো যাবে ৩২ জিবি পর্যন্ত। আছে ৫ ও ২ মেগা পিক্সেলের দু’টি ক্যামেরা। ৭টি ভারতীয় ভাষায় ফোনটি ব্যবহার করা যাবে। ফলে দেশীয় ক্রেতার কাছে এটি আরও আকর্ষণীয় হবে, মত সংস্থার। শুধু নেটে কেনাকাটার সাইটেই মিলবে ফোনগুলি। যেমন, মাইক্রোম্যাক্সের ফোনটি বেচবে অ্যামাজন, স্পাইসের ফ্লিপকার্ট, কার্বনের ফোনটি স্ন্যাপডিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গুগ্লের এই ফোন চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে চলেছে স্যামসাঙের মতো সংস্থার কাছে। কারণ, এতে আরও প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে তারা। ইতিমধ্যেই মোটোরোলা, জিয়াওমি, মাইক্রোম্যাক্সের মতো সংস্থার প্রতিযোগিতার সামনে পড়েছে তারা। এ বার তা আরও জোরদার হবে বলেই ইঙ্গিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy