Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

মোবাইলে আধার যোগ ঘরে বসেও

ভুয়ো গ্রাহক ধরতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে দোকানে সিম বা ফোন নম্বর যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চালাচ্ছিল টেলি সংস্থাগুলি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৩৯
Share: Save:

এখন ঘরে বসেও আইভিআর (ইন্টারঅ্যাকটিভ ভয়েস রেসপন্স) পদ্ধতিতে মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আধারের তথ্য যোগ করার সুযোগ মিলছে। টেলিকম দফতরের (ডট) নির্দেশ মেনে নতুন বছর থেকে তা চালু করল এয়ারটেল, ভোডাফোন, আইডিয়ার মতো সংস্থা। রাষ্ট্রায়ত্ত বিএসএনএল অবশ্য জানিয়েছে, এ সপ্তাহের মধ্যে তারা তা চালু করবে।

ভুয়ো গ্রাহক ধরতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে দোকানে সিম বা ফোন নম্বর যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চালাচ্ছিল টেলি সংস্থাগুলি। তবে এ বার থেকে বাড়ি থেকেও তা করা যাবে। যেমন আইভিআরের মাধ্যমে রান্নার গ্যাস বুক করেন গ্রাহকেরা, তেমনই এ ক্ষেত্রেও ডট আইভিআর পদ্ধতি চালু করতে বলেছে। তবে এই সুবিধা পেতে মোবাইল গ্রাহকের আধার নম্বরের সঙ্গে আগে থেকে তাঁর মোবাইল নম্বর নথিভুক্ত থাকতেই হবে।

বাড়ি বসে যে ভাবে ধাপে ধাপে মোবাইলে আধার যুক্ত করতে হবে, তা জানিয়েছে সংস্থাগুলি। এই ব্যবস্থায় সব সংস্থার গ্রাহককেই ১৪৫৪৬ (‘টোল ফ্রি’) নম্বরে ফোন করে তাঁর পছন্দসই ভাষায় স্বয়ংক্রিয় নির্দেশ মেনে পরপর এগোতে হবে। যেমন:

• গ্রাহক তাঁর আধার-তথ্য যাচাইয়ে সায় দিলে আধার নম্বরটি চাওয়া হবে।

• ওই নথিভুক্ত মোবাইল নম্বরে আধার কর্তৃপক্ষ (ইউআইডিএআই) একটি ওটিপি পাঠাবেন। অর্থাৎ, মোবাইল নম্বর নথিভুক্ত না-থাকলে ওটিপি পাঠানো যাবে না।

• গ্রাহককে সেই ওটিপি লিখতে হবে আইভিআরে। আধার নম্বরের ব্যক্তি ও মোবাইলের গ্রাহক, উভয় একই ব্যক্তি কি না, তা খতিয়ে দেখারই হাতিয়ার হল ওটিপি।

• গ্রাহকের আধারের সঙ্গে যদি একাধিক মোবাইল নম্বর নথিভুক্ত থাকে, তা হলে সেগুলিও তিনি সেখানে জানাতে পারবেন।

• তথ্য যাচাই করে সব কিছু মিললে আইভিআরে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসএমএস করে গ্রাহককে তা জানানো হবে।

প্রসঙ্গত, মোবাইলের সঙ্গে আধার তথ্য দাখিলের জন্য কেন্দ্র সময়সীমা বাড়িয়ে করেছে আগামী ৩১ মার্চ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE