Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

বিপদ বাড়াবে ভোটের বাজেট: পানাগড়িয়া

সংশ্লিষ্ট সূত্রের ইঙ্গিত, আগামী ১ ফেব্রুয়ারির বাজেটে ২০১৯ সালের ভোটের দিকে তাকিয়ে অনেক কিছুই ঘোষণা করতে চাইছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।

অরবিন্দ পানাগাড়িয়া

অরবিন্দ পানাগাড়িয়া

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:১৯
Share: Save:

লোকসভা ভোটের কথা ভেবে সাধারণ মানুষকে খুশি করতে বাজেটে কিছু উপহার থাকতে পারে। কিন্তু জনমোহিনী প্রকল্প ঘোষণা করলে বিপদ হবে বলে সতর্ক করলেন অরবিন্দ পানাগাড়িয়া। নীতি আয়োগের প্রাক্তন উপাধ্যক্ষের যুক্তি, ‘‘ভোটের সময়ে টেলিভিশন উপহার দেওয়ার মতো ‘তামিলনাড়ু মডেল’ মেনে এককালীন কিছু ঘোষণা করা হতেই পারে। কিন্তু প্রতি বছর আর্থিক দায় নিতে হবে, এমন প্রকল্প চালু করে ফেললে, বিপদ হতে পারে।’’

প্রায় তিন বছর নীতি আয়োগে থাকার পরে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় ফিরেছেন পানাগড়িয়া। আজ দিল্লিতে ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের সভায় তিনি অবশ্য বলেন, ‘‘মোদী সরকার আর্থিক শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী। এত দিন যে শৃঙ্খলা ভেঙে ঘাটতি বাড়ানো হয়নি, সেটা নেহাত দুর্ঘটনা নয়।’’

সংশ্লিষ্ট সূত্রের ইঙ্গিত, আগামী ১ ফেব্রুয়ারির বাজেটে ২০১৯ সালের ভোটের দিকে তাকিয়ে অনেক কিছুই ঘোষণা করতে চাইছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। কিন্তু আর্থিক টানাটানির জেরে রাজকোষ ঘাটতির চাপে সাধ থাকলেও সেই সাধ্য নেই। আজ সম্মেলনের শুরুতে বণিকসভার সভাপতি শাশ্বত গোয়েন্‌কা বিতর্কের সুর বেঁধে দিয়ে বলেন, ভোটের কথা ভেবে জনমোহিনী বাজেট, না কি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সংস্কারের পথ— সরকার কোন দিকে হাঁটবে, সকলেই তা দেখতে চাইছেন।

আর্থিক শৃঙ্খলা এখনও ভাঙা না হলেও জমি অধিগ্রহণ ও শ্রম আইন সংস্কারে যে অনেক কাজ বাকি, তা মানছেন পানাগাড়িয়া। তাঁর মন্তব্য, সরকার এ বিষয়ে গড়িমসি করছে। আজ শিল্পমহলও শ্রম আইন সংস্কারের দাবি তুলেছে। বণিকসভার সহ-সভাপতি রুদ্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জমি ব্যবহার ও শ্রম আইন, দু’টি ক্ষেত্রেই বড্ড বেশি নিয়ন্ত্রণ।’’

মোদী জমানার চার বছর কাটতে চললেও বেসরকারি লগ্নিতে জোয়ার আসেনি। জমি ও শ্রম আইনে লাল ফিতের ফাঁস ছাড়াও, রুদ্রবাবুর যুক্তি, ‘‘বাজারে চাহিদা কম। তাই গ্রামে চাহিদা বাড়তে হবে।’’ কোম্পানি কর কমানোরও সওয়াল করেন তিনি।

পাশাপাশি পানাগাড়িয়ার প্রশ্ন, রফতানির বাজার বাড়াতে কেন মন দিচ্ছে না শিল্প? রফতানি বাড়লে কর্মসংস্থানও বাড়বে, যুক্তি পানাগাডিয়ার। এনআইপিএফপি-র শিক্ষক সুদীপ্ত মুণ্ডলে-র যুক্তি, ‘‘বাজারে যাঁরা চাকরির খোঁজে নামছেন, তাঁদের দক্ষতাও বাড়ানো প্রয়োজন।’’ অর্থ মন্ত্রকের প্রিন্সিপাল উপদেষ্টা সঞ্জীব স্যান্যালের মতে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মতো প্রযুক্তির ফলে কর্মরত অবস্থাতেও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। শিক্ষা ব্যবস্থাকেও সেই ভাবেই সাজাতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE