নভেম্বরে নোট বাতিলের পর পরই তড়িঘড়ি ১ জুলাই জিএসটি চালু! রাজ্য সরকারের মতে তা ছিল ‘সুপার ইমার্জেন্সি’। কিন্তু ১৭ দিনের মাথায় নবান্নের কাছে সেই জিএসটি-ই এখন কোষাগার ভরানোর রাস্তা বাতলাচ্ছে। এমনটাই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
এ ক’দিনে রাজ্যে ৬০ হাজার ব্যবসায়ী জিএসটি-র আওতায় নতুন করে নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। এঁরা যুক্তমূল্য কর (ভ্যাট) দিতেন না। পরিসংখ্যান বলছে, নথিভুক্তিতে দেশের প্রথম পাঁচ রাজ্যের মধ্যে ঠাঁই করে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ফলে অর্থ দফতরের কর্তারা আশায় বুক বাঁধছেন। তাঁদের ধারণা, শেষ পর্যন্ত আরও অন্তত ১ লক্ষ ব্যবসায়ী কর ব্যবস্থার আওতায় আসবেন। তাতে রাজস্ব সংগ্রহ ১০ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে।
কর দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘আড়াই লক্ষ ভ্যাট ডিলারের থেকে বছরে ৩২ হাজার কোটি কর আদায় হত। যদি শেষ পর্যন্ত আরও এক লাখ ব্যবসায়ী জিএসটির আওতায় আসেন তা হলে অন্তত বাড়তি ১০ হাজার কোটি কোষাগারে আসতে পারে।’’
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও মঙ্গলবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘দেশে ছ’কোটি ব্যবসায়ী আছেন। কিন্তু নথিভুক্ত মাত্র ৮৫ লক্ষ। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে কী বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে। জিএসটির ফলে কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়েই উপকৃত হবে।’’
নতুন ব্যবসা বা সংস্থার নাম নথিভুক্তির জন্য আরও ১২ দিন সময় রয়েছে। সোমবার জিএসটি পরিষদের বৈঠকে অরুণ জেটলিও রাজ্যের পরিসংখ্যানে সন্তোষ জানান। সারা দেশে সাড়ে ৭ লক্ষ নতুন ব্যবসায়ী জিএসটি দিতে চেয়ে নাম লিখিয়েছেন। তার মধ্যে মহারাষ্ট্রে লক্ষাধিক, গুজরাতে ৭০ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। এ রাজ্যে তা ৬০ হাজার। তার মধ্যে ৪০ হাজার জন নথিভুক্তির নম্বর পেয়ে গিয়েছেন।
প্রথমে কিছুটা বিগড়োলেও এখন আর সফটওয়্যার সংক্রান্ত কোনও সমস্যা নেই বলেও দাবি সংশ্লিষ্ট সূত্রের। ফলে যে-সব ব্যবসায়ী নাম লেখাচ্ছেন, তাঁরা ১০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত দিয়ে দেখেও নিয়েছেন কর ঠিক মতো জমা পড়ছে কি না। সেই হিসেবে দু’কোটি টাকার বেশি রাজ্যের ভাঁড়ারে জমাও পড়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy