আর্থিক বৃদ্ধির হার ধরে রাখল চিন। ২০১৭-র জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনটি ত্রৈমাসিকেই তা সরকারের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা ৬.৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, এই ত্রৈমাসিক ধরলে চিনের বার্ষিক বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৬.৯ শতাংশ। মোট জাতীয় উৎপাদন বা জিডিপি ছুঁয়েছে ৮.৯৬ লক্ষ কোটি ডলার।
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে অবশ্য বৃদ্ধি ছুঁয়েছে ৬.৮ শতাংশ। আগের দু’টিতে তা ছিল ৬.৯ শতাংশ। ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিক্স (এনবিএস)-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই নিয়ে পরপর ন’টি ত্রৈমাসিকে চিনের জাতীয় আয় ৬.৭ থেকে ৬.৯ শতাংশ হারেই বেড়েছে।
এনবিএস মুখপাত্র জিং ঝিহং দাবি করেন, ‘‘মাঝারি থেকে চড়া হারেই বৃদ্ধির পথে এগিয়েছে চিন। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, আমাদের অর্থনীতি কতটা শক্তিশালী।’’ এনবিএসের দাবি অনুযায়ী, পরিষেবা ক্ষেত্রই চিনা অর্থনীতির চাকাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মূল চালিকাশক্তি। এ ক্ষেত্রে জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরে বৃদ্ধির হার ৭.৮ শতাংশ। কৃষি-পশুপালনের মতো ক্ষেত্রে উৎপাদন বেড়েছে ৩.৭ শতাংশ।
কল-কারখানা ও পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ৬.৩ শতাংশ। পাশাপাশি ভোগ্যপণ্যের খুচরো বিক্রির বার্ষিক বিক্রি বেড়েছে ১০.৪ শতাংশ হারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা অর্থনীতিতে চাহিদার পরিমাণ যথেষ্ট থাকার ইঙ্গিত, যা টেনে তুলছে বৃদ্ধিকে।
এর আগে বুধবারই চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং দাবি করেছিলেন, বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধিতে চিনের অবদান ৩০ শতাংশের বেশি। গত পাঁচ বছরে তার জিডিপি ৫৪ লক্ষ কোটি ইউয়ান থেকে বেড়ে হয়েছে ৮০ লক্ষ কোটি ইউয়ান। যার হাত ধরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির তকমা ধরে রেখেছে চিন। পাঁচ বছর নিজের ক্ষমতায় থাকার খতিয়ান পেশ করতে গিয়ে এই দাবি করেন শি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy