চায়ের রফতানি বাড়ছে না। দেশের অন্দরেও কমছে চাহিদা। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসাই চা শিল্পের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব সন্তোষ ষড়ঙ্গী। পাশাপাশি, এই লক্ষ্য পূরণের জন্য চা পর্ষদের ভূমিকাও বদলাতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ দিকে, চা, কফি, রবার ইত্যাদি পর্ষদগুলিকে মিশিয়ে দেওয়া এবং টি বোর্ড তুলে দেওয়া নিয়ে কিছু দিন আগে এক প্রস্ত জল্পনা ছড়িয়েছিল। বাণিজ্য মন্ত্রকের সূত্রের দাবি, এখন এমন কোনও প্রস্তাব নেই।
সম্প্রতি আইটিএ-র বার্ষিক সভায় ষড়ঙ্গীর দাবি, দেশে, বিশেষ করে যুব সমাজের কাছে চায়ের চাহিদা কমছে। ঘুরে দাঁড়াতে এ বার তা বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া জরুরি। সে ক্ষেত্রে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চা পর্ষদের ভূমিকাও বদলানো প্রয়োজন বলে জানান তিনি। ষড়ঙ্গীর কথায়, ‘‘এত দিন পর্ষদের প্রধান ভূমিকা ছিল এই শিল্পে ভর্তুকির বিষয়টি দেখা। কিন্তু এ বার তা বদলানো জরুরি।’’ সে ক্ষেত্রে শিল্পের প্রসারে বিভিন্ন ধরনের চায়ের প্রচার, লাউঞ্জ-বুটিক তৈরি, বিদেশে চা মেশানো ও প্যাকেটজাত করার কেন্দ্র খোলার মতো পদক্ষেপের জন্য শিল্পের পাশে থাকার দায়িত্ব পর্ষদকেই নিতে হবে বলে তাঁর অভিমত। যে জন্য বোর্ডের নির্দেশিকা বদলের কথাও ভাবা হতে পারে।
আইটিএ-র অনুষ্ঠানের পরে বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রভাত বেজবড়ুয়া জানিয়েছেন, চা, কফি, রবার ইত্যাদির পর্ষদগুলিকে মেশানোর প্রস্তাব আপাতত স্থগিত থাকছে। যদিও বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রের দাবি, এ নিয়ে কখনওই প্রস্তাব বা সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই তা কার্যকর বা স্থগিত থাকার প্রশ্ন ওঠে না। বিভিন্ন বোর্ডগুলির কাজের পর্যালোচনা করা হচ্ছে। কিন্তু প্রস্তাব বা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও কিছু পাঠানো হয়নি। পুরোটাই জল্পনা।
অন্য দিকে ষড়ঙ্গী জানান, পাহাড়ে আন্দোলনের জেরে বিপর্যস্ত দার্জিলিঙের চা শিল্পকে আর্থিক সাহায্যের প্রস্তাবটি কেন্দ্রীয় ব্যয় বিষয়ক দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে। রফতানিতে জোর দিয়েছেন আইটিএ-র চেয়ারম্যান আজম মোনেমও। তিনি জানান, তা অন্তত ৫-৭ কোটি কেজি বাড়ানো জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy