ডোনাল্ড ট্রাম্প
ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামে চড়া শুল্ক চাপিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নিয়ম ভেঙেছেন। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা। আর, তাঁদের মতে সেই কারণেই ভারতের উচিত আমেরিকাকে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ডব্লিউটিও-র বিবাদ নিষ্পত্তি বিভাগের মুখোমুখি দাঁড় করানো।
ইস্পাতে ২৫ শতাংশ ও অ্যালুমিনিয়ামে ১০ শতাংশ শুল্ক বসাতে ইতিমধ্যেই চুক্তিতে সই করেছেন ট্রাম্প। এ বার বাণিজ্যে এ ধরনের বাধানিষেধ চালু করার বিরুদ্ধেই মুখ খুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির শিক্ষক বিশ্বজিৎ ধর বলেন, ‘‘এর জেরে শুধু যে আমেরিকায় ভারতের পণ্য রফতানিতে প্রভাব পড়বে, তা নয়, বিশ্ব বাণিজ্য ভাল রকম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত রক্ষণশীল মনোভাবেরই লক্ষণ। ভারতের উচিত ডব্লিউটিও-তে এর বিরুদ্ধে নালিশ করা।’’
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য সচিব জি কে পিল্লাই একই সুরে বলেছেন, ‘‘অস্ত্র আমাদের হাতেও আছে। দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে শুল্কের পাঁচিল তোলার স্বাধীনতা ভারতেরও রয়েছে।’’ পিল্লাই এ প্রসঙ্গে কাঠবাদাম, পেস্তা, হার্লে ডেভিডসন মোটরসাইকেলে ভারতের তরফে আমদানি শুল্ক চড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। আমেরিকা ওই সব পণ্য ভারতে রফতানি করে থাকে। তবে ডব্লিউটিও-র বেঁধে দেওয়া সীমার মধ্যেই ভারত প্রয়োজনে আমদানি শুল্ক বাড়াবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রফতানিকারীদের সংগঠন ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্টস অর্গানাইজেশন (ফিও)-ও বিষয়টি নিয়ে ডব্লিউটিও-তে নালিশ করার পরামর্শ দিয়েছে। সংগঠনের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সহায় বলেন, ‘‘আমেরিকা ডব্লিউটিও-র শর্ত ভেঙে এত চড়া শুল্ক চাপিয়েছে।’’
বণিকসভা ফিকি-র প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ আর ভি কানোরিয়ারও একই মত। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ফরেন ট্রেড-এর শিক্ষক রাকেশ মোহন জোশী বলেছেন, বাণিজ্য যুদ্ধে সামিল হতে পারে অন্যান্য রাষ্ট্রও। ফলে সব মিলিয়ে আমেরিকার শুল্ক যুদ্ধ প্রভাব ফেলবে বিশ্ব বাণিজ্যে, নষ্ট করবে প্রতিযোগিতার পরিবেশ। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতের তাই উচিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিবাদ নিষ্পত্তি বিভাগেরই দ্বারস্থ হওয়া।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy