Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
সমঝোতা চিন-আমেরিকার

মার্কিন শুল্কে পাল্টা হুমকি ভারতের

মার্কিন শুল্ক নিয়ে যখন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) নালিশ করল ভারত, তখনই সমঝোতায় পৌঁছনোর কথা জানাল আমেরিকা ও চিন।

কড়া: হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্প। রয়টার্স

কড়া: হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্প। রয়টার্স

সংবাদ সংস্থা
জেনিভা ও ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৮ ০২:২০
Share: Save:

মার্কিন শুল্ক নিয়ে যখন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) নালিশ করল ভারত, তখনই সমঝোতায় পৌঁছনোর কথা জানাল আমেরিকা ও চিন।

বিশ্ব জুড়ে বাণিজ্য যুদ্ধের মেঘ ঘনিয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়ামে আমদানি শুল্ক বসানোর কথা ঘোষণা করতেই। এ বার সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আরও জোরালো ভাবে রুখে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে আমেরিকাকে ডব্লিউটিও-এ টেনে নিয়ে গেল ভারত। নালিশ জানিয়ে বলল, এ ভাবে শুল্ক চাপানো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিধির লঙ্ঘন। এর জেরে সে দেশে তাদের রফতানি মার খাবে। ওয়াশিংটন শুল্ক না-ফেরালে পাল্টা হিসেবে ২১ জুনের মধ্যে একগুচ্ছ মার্কিন পণ্যে উঁচু হারে কর বসানোর হুমকিও দিয়েছে ভারত। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে মিলে ডব্লিউটিও-তে জমা দিয়েছে তার তালিকা। এতে আছে, সয়াবিনের তেল, কাজু বাদাম ইত্যাদি।

এ দিকে, শনিবার রাতেই (ভারতীয় সময়) শুল্ক নিয়ে আলোচনায় সমঝোতায় পৌঁছনোর কথা জানিয়েছে আমেরিকা ও চিন। দু’পক্ষ যৌথ বিবৃতি দিয়ে বলেছে, বাণিজ্য ঘাটতি কমানো নিয়ে একমত হয়েছে তারা। এ জন্য আমেরিকা থেকে কৃষি ও বিদ্যুৎ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত পণ্য ‘অনেক বেশি’ পরিমাণে কিনতে রাজি বেজিং। সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন আইন সংশোধন করা হবে। বদলানো হবে মেধাস্বত্ব আইনও।

পাল্টা

• শুল্ক নিয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে ডব্লিউটিও-তে ভারত।

• পাল্টা শুল্ক বসাতে একগুচ্ছ মার্কিন পণ্যের তালিকাও পেশ ভারত এবং ইইউ-এর।

অভিযোগ

• ট্রাম্পের শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্য বিধির বিরোধী।

• এতে মার খাবে রফতানি।

দাবি

• ডব্লিউটিও-র বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থায় শুল্ক নিয়ে আলোচনা হোক ওয়াশিংটনের সঙ্গে।

• আপসে রফা না-হলে বিরোধ নিষ্পত্তি কমিটি তৈরির আর্জি।

বিশেষজ্ঞদের মতে

• রায় নয়াদিল্লির পক্ষে না-ও যেতে পারে। কারণ, দু’দেশের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত।

উল্লেখ্য, ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়ামে যথাক্রমে ২৫% এবং ১০% শুল্ক বসানোর কথা জানিয়ে ট্রাম্প মার্চে বাণিজ্যে শুল্ক-যুদ্ধের দামামা বাজিয়েছিলেন। যুক্তি ছিল, মার্কিন উৎপাদনকারীদের বাঁচাতে এ ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এতে শুধু ভারত নয়, পুরো বিশ্ব বাণিজ্যই ভুগবে। কিছু দেশকে অবশ্য কর থেকে ছাড় দিয়েছেন ট্রাম্প। যে কারণে নয়াদিল্লিও এর আগে ছাড়ের দাবি জানিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল, তারাই বা তা পাবে না কেন?

এ দেশ বছরে প্রায় ১৫০ কোটি ডলারের (প্রায় ১০,২০০ কোটি টাকা) ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম রফতানি করে আমেরিকায়। তবে এখন দু’দেশের বাণিজ্যে ঘাটতি নেই। বরং উদ্বৃত্ত। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, ডব্লিউটিও-র রায় ভারতের পক্ষে না-ও যেতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE