Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

অশনি সঙ্কেত দেখছে দিল্লিও

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ভাবে অবাধ বাণিজ্যে পাঁচিল তুলছেন, তাতে অশনি সঙ্কেত দেখছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাঁর ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়ামে কর চাপানো, চিনের সঙ্গে শুল্ক-যুদ্ধ ঘোষণা কিংবা প্রতি মুহূর্তে মার্কিন পণ্যকে শুল্কমুক্ত না করলে পাল্টা দেওয়ার হুমকি উদ্বিগ্ন করে তুলছে ভারতকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৮ ০২:০৫
Share: Save:

হার্লে ডেভিডসনের মতো মার্কিন মোটরসাইকেলে চড়া আমদানি শুল্ক বসানো নিয়ে ভারতকে বিঁধেছেন ঠিকই। তবে বেজিংয়ের মতো দিল্লির বিরুদ্ধে সরাসরি বাণিজ্য যুদ্ধের তোপ দাগেননি এখনও। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ভাবে অবাধ বাণিজ্যে পাঁচিল তুলছেন, তাতে অশনি সঙ্কেত দেখছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাঁর ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়ামে কর চাপানো, চিনের সঙ্গে শুল্ক-যুদ্ধ ঘোষণা কিংবা প্রতি মুহূর্তে মার্কিন পণ্যকে শুল্কমুক্ত না করলে পাল্টা দেওয়ার হুমকি উদ্বিগ্ন করে তুলছে ভারতকে।

সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, আশঙ্কার কারণ দু’টি। এক, এর ফলে ভারতের রফতানি কিছুটা হলেও ধাক্কা খেতে পারে। দুই, বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল। যার হাত ধরে গতি পাচ্ছিল ভারতের বৃদ্ধিও। কিন্তু মার্কিন-চিন বাণিজ্য যুদ্ধ স্তব্ধ করে দিতে পারে বিশ্ব জুড়ে বৃদ্ধির গতি। যার হাত থেকে রেহাই পাবে না ভারতও। যে কারণে এর মোকাবিলায় অন্য পথে রফতানি বাড়ানোর পথ খুঁজতে হবে বলে আজ মেনেছেন বাণিজ্য মন্ত্রী সুরেশ প্রভু।

গতকালই চিনা পণ্যে চড়া শুল্কের কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প। তার আগে ইস্পাত-অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতেও শুল্ক বসিয়েছেন। বেজিংয়ের মতো নয়াদিল্লি পাল্টা পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি না দিলেও প্রভু বলেন, ‘‘কোনও দেশ একতরফা ব্যবস্থা নিলে তা মনে রাখব এবং যথোচিত ব্যবস্থা নেব।’’

এ দিন তাঁর দাবি, ‘‘আমেরিকার রক্ষণশীল নীতিতে বিশ্ব চ্যালেঞ্জের মুখে। শুধু চিন নয়, সব দেশের সঙ্গেই বাণিজ্যে কড়া পদক্ষেপ করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে রফতানি বাড়ানোর বিকল্প রাস্তা খুঁজতে হবে।’’ প্রভুর ইঙ্গিত, আফ্রিকার দেশগুলিতে রফতানি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। আগামী সপ্তাহে চিনের বাণিজ্যমন্ত্রী ঝং শান দিল্লি আসছেন। তাঁদের সঙ্গেও বাণিজ্য বাড়ানোর রাস্তা খোঁজা হবে।

জি-২০ বৈঠকে ভারতের ‘শেরপা’ শক্তিকান্ত দাসের যুক্তি, ট্রাম্পের নীতিতে ভারতের সামনে আশু বিপদ নেই। কারণ এখান থেকে খুব কম ইস্পাত বা অ্যালুমিনিয়াম কেনে আমেরিকা। এ দেশের মোট পণ্য রফতানির সামান্যই হয় মার্কিন মুলুকে। বাণিজ্য মন্ত্রকের কর্তাদেরও ব্যাখ্যা, চিন নিয়ে যেমন কড়া হয়েছে আমেরিকা, ভারত সম্পর্কে হবে না। কারণ পণ্য আমদানি-রফতানিতে চিনের তুলনায় এ দেশের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি খুবই কম। মাত্র ২,২৯০ কোটি ডলার। চিনের ক্ষেত্রে যা অন্তত ৩৭,০০০ কোটি ডলার। তা সত্ত্বেও ট্রাম্প নীতির দিকে সতর্ক নজর রেখেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে বলে মত শক্তিকান্তর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE