এ বার কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডে (ইপিএফ) জমানো টাকা থেকে মেটানো যাবে বাড়ি-ফ্ল্যাটের মাসিক কিস্তি (ইএমআই)। আগের মতো দেওয়া যাবে থোক টাকাও। এ জন্য নতুন প্রকল্প চালু করতে চলেছেন পিএফ কর্তৃপক্ষ। সব ঠিকঠাক চললে মার্চ থেকেই তা শুরু হওয়ার কথা।
এই প্রকল্পে টাকা তোলা মানে ধার নেওয়া নয়। বরং নিজের জমানো টাকা আগাম তোলা। এই ব্যবস্থা আগেও ছিল। এ বার এ ভাবে টাকা তুলে তা দিয়ে কিস্তিও মেটানো যাবে। আগে যে সুবিধা ছিল না। তবে আগাম টাকা নেওয়ার আগের নিয়মও চালু থাকবে।
পিএফ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যে সমস্ত সদস্য বাড়ি-ফ্ল্যাট কিনতে ব্যাঙ্কের কাছে ঋণ নেবেন, তাঁরা তাঁদের পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা টাকা থেকেই মেটাতে পারবেন ওই ঋণের কিস্তি। শুধু তাই নয়, বাড়ি বা ফ্ল্যট কিনতে প্রথমে থোক টাকা দিতে হলে, তারও সংস্থান করা যাবে সদস্যের পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা টাকা থেকে। তা আর ফেরত দিতে হবে না। অবসরের পরে সেই টাকা কেটে বাকিটুকু সুদ-সহ হাতে পাওয়া যাবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মতো সরকারি প্রকল্পের আওতায় বাড়ি-ফ্ল্যাট কিনলেও এই সুবিধা মিলবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর।
এই প্রকল্পের সুবিধা হল, যাঁরা ঋণ নেবেন, তাঁদের ধার শোধের ক্ষমতা থাকার সার্টিফিকেটও দেবে পিএফ দফতর। বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেতে আবেদনকারীকে প্রমাণ করতে হয় যে, তাঁর ধার শোধের ক্ষমতা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই তা করতে অসুবিধায় পড়েন তাঁরা। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, পিএফের এই আবাসন প্রকল্পে সামিল হলে, কর্তৃপক্ষের দেওয়া সার্টিফিকেটই ঋণ শোধের ক্ষমতা প্রমাণে সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন:
৩৪০ কোটির লগ্নি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে
নতুন প্রকল্পের সুবিধা নিতে কী করতে হবে সদস্যদের?
প্রথমত, চাকরিতে থাকার সময়ের মধ্যেই ওই প্রকল্পে সামিল হতে হবে। দ্বিতীয়ত, অন্তত ২০ জন মিলে গড়তে হবে একটি আবাসন সমবায় সমিতি। ওই সমিতিতে সামিল হতে হবে নিয়োগকারীকেও। এর পর ওই সমিতিকে ঋণের জন্য চুক্তি করতে হবে ব্যাঙ্কের সঙ্গে। পাশাপাশি, চুক্তি সারতে হবে প্রোমোটারের সঙ্গেও।
পিএফ কর্তৃপক্ষ অবশ্য ঋণ শোধের ব্যাপারে কোনও গ্যারান্টি বা নিশ্চয়তা দেবেন না। তাই প্রকল্পে বলা হয়েছে যে, ব্যাঙ্ক ঋণ নেওয়ার পরে কোনও ধরনের মামলা হলে, তার সঙ্গে পিএফ কর্তৃপক্ষ নিজেদের জড়াবেন না। সেই আইনি জটিলতা সংশ্লিষ্ট পিএফ সদস্য, ব্যাঙ্ক ও প্রোমোটারকেই নিজেদের মধ্যে ফয়সালা করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy