নতুন আবাসন আইনের হাত ধরে ব্যবসা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সাধারণ বিমা সংস্থাগুলি। একই সঙ্গে তাদের আশা, ইন্টারনেট বা সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও এ বার বিমার বাজার সম্প্রসারিত হবে।
সম্প্রতি রিয়েল এস্টেট (রেগুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) আইন, ২০১৬ এনেছে কেন্দ্র। সেখানে বলা হয়েছে, ফ্ল্যাট বেচার পরে জমির মালিকানা নিয়ে সমস্যা তৈরি হলে তার দায় এ বার থেকে বইতে হবে প্রোমোটার তথা নির্মাতা সংস্থাকে। বাড়িতেও নির্মাণ সংক্রান্ত ত্রুটি ধরা পড়লে জরিমানা গুনতে হবে তাদের। এ ছাড়া, কোনও আবাসন প্রকল্পে নতুন ফ্ল্যাট কেনার পরে দলিলে গণ্ডগোল বেরোলে বা নির্মাণের ত্রুটি ধরা পড়লে, নির্মাতাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পাশাপাশি প্রকল্প তৈরির খরচের ৫% জরিমানাও দিতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে।
আর এখানেই বিমার বাজার বাড়ানোর সম্ভাবনা দেখছেন সাধারণ বিমা সংস্থার কর্তারা। বজাজ অ্যালায়েঞ্জ জেনারেল ইনশিওরেন্সের এমডি-সিইও তপন সিঙ্ঘল বলেন, ‘‘আমাদের আশা জরিমানা ও ক্ষতিপূরণের টাকা যাতে পকেট থেকে দিতে না হয়, সে জন্য নির্মাতা সংস্থাগুলির মধ্যে এই সংক্রান্ত বিমা প্রকল্প কেনার চাহিদা তৈরি হবে। তাই এ ধরনের পলিসি তৈরির উদ্যোগ শুরুও হয়েছে।’’ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই সাত সদস্যের কমিটি গড়েছে বিমা নিয়ন্ত্রক আইআরডিএ। তাদের নির্দেশিকা এলেই বিমা সংস্থাগুলি পলিসি তৈরিতে পুরোদমে উদ্যোগী হবে বলে জানান সিংঘল।
অন্য দিকে, ইন্টারনেট বা সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিমার বাজার বাড়ার সুযোগ নিয়ে সিংঘল বলেন, ‘‘অনেক ক্ষেত্রেই গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে হ্যাকিংয়ে টাকা চুরি যাচ্ছে। এ ব্যাপারে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতেও বিমার ব্যবহার বাড়ার ভাল সম্ভাবনা রয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy