পুরী, দীঘা, দার্জিলিং-এর পরে যে শহরগুলি ভ্রমণপ্রিয় বাঙালিকে টেনে নিয়ে যায়, তার মধ্যে গোয়া আর কাশ্মীর রয়েছে। কলকাতা থেকে ইতিমধ্যেই গোয়ায় সরাসরি উড়ান চালু করেছে ইন্ডিগো। সেখানে যাত্রীও ভাল পাচ্ছে। এ বার কাশ্মীরের পালা।
বিমানসংস্থাগুলির মধ্যে কলকাতা থেকে এখন সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করছে ইন্ডিগো। তাদেরই সর্বোচ্চ সংখ্যক বিমান ওঠানামা করে কলকাতা থেকে। দ্বিতীয় স্থানে এয়ার ইন্ডিয়া। কলকাতায় এসে মঙ্গলবার ইন্ডিগোর প্রেসিডেন্ট আদিত্য ঘোষ জানিয়ে গেলেন অবিলম্বে কলকাতা থেকে কাশ্মীরে উড়ান চালানো হবে। তাঁর কথায়, ‘‘প্রথমে ভেবেছিলাম বিমান দিল্লি ছুঁয়ে যাবে। কলকাতা থেকে যাঁরা কাশ্মীর যেতে চাইবেন, তাঁদের দিল্লিতে নামতে হবে না। বিমান বদল করতে হবে না। ওই বিমানই দিল্লি ছুঁয়ে কাশ্মীর যাবে।’’ কিন্তু, বাজার যাচাই করে পরে সিদ্ধান্ত বদলেছেন তিনি। ঠিক হয়েছে, কলকাতা থেকে সরাসরি কাশ্মীরে বিমান উড়ে যাবে। ঠিক যেমন গোয়ায় যাচ্ছে। আদিত্য বলেন, ‘‘তবে হতে পারে ওই বিমানটিকে আমরা জম্মুতে একবার নামাব। তাতে বৈষ্ণোদেবীর যাত্রীও পাওয়া যাবে।’’ গোয়াতে এত যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে যে কলকাতা থেকে সমুদ্র-শহরে দিনের দ্বিতীয় উড়ান চালানোর পরিকল্পনাও শুরু হয়েছে।
আন্তর্জাতিক রুটে কলকাতা থেকে এখন শুধু ব্যাঙ্কক যাচ্ছে ইন্ডিগো। এ বার ঠিক হয়েছে, সিঙ্গাপুর, ঢাকা এবং কাঠমাণ্ডুও যাবে ইন্ডিগোর বিমান। আদিত্য বলেন, ‘‘কাঠমাণ্ডুর কথা প্রথম থেকেই ভেবে রাখা হয়েছিল। কিন্তু, মাঝে সেখানে ভূমিকম্পের জন্য আমাদের পরিকল্পনা পিছিয়ে দিতে হয়। এ বার শুরু করা হবে।’’ জানা গিয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যে কলকাতা-শিলচর উড়ানও শুরু করবে ইন্ডিগো। সংস্থার প্রেসিডেন্টের মতে, কলকাতা-দিল্লি রুটে তাদের দৈনিক ৯টা করে উড়ান থাকলেও আরও উড়ান বাড়ানোর অনুরোধ আসছে। কলকাতা-বেঙ্গালুরু রুটে দিনে ৭টির জায়গায় ৯টি উড়ান চালু করার প্রস্তাব আসছে। তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকার ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের যেমন শিকাগো শহরের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রয়েছে, তেমনই এই মূহূর্তে কলকাতা শহরের আর্থিক উন্নয়নে আমাদেরও অবদান রয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। আগামী দিনে এই শহর থেকেই পাইলট, বিমানসেবিকা, ইঞ্জিনিয়ার যেমন নেওয়া হবে, তেমনই আমাদের যারা পরিষেবা দিচ্ছে, সেই হোটেল, ক্যাটারিং সংস্থা, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সংস্থারও ব্যবসা বাড়ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy