প্রতীকী ছবি।
‘দিল্লির শপিং মল থেকে প্রসাধনী কেনা তরুণীর অভিযোগ, তাতে জিএসটি ২৮% থেকে কমে ১৮% হলেও দাম কমেনি।
জয়পুর থেকে ভেসলিন ক্রেতার অভিযোগ, ১৫ নভেম্বর জিএসটি-র হার ২৮ থেকে ১৮ শতাংশে নেমে এলেও, দাম কিন্তু কমেনি।
রেস্তরাঁয় জিএসটি ১৮% থেকে কমে ৫% হলেও একটি নামী খাবারের চেন দাম তো কমায়ইনি, উল্টে ঘোষণা, ক্রেতাদের কথা ভেবেই নাকি আগের মতো কাঁচামালে মেটানো করে ছাড় না-মেলা সত্ত্বেও দাম বাড়াচ্ছে না তারা! একই অভিযোগ মুম্বইয়ের গোরেগাঁওয়ে কফির দাম নিয়েও।
এই সংস্থাগুলিকে এ বার নোটিস পাঠিয়েছে কর দফতর। প্রশ্ন, জিএসটি কমার পরেও তারা দাম কমাচ্ছে না কেন? এমনকী গত অর্থবর্ষের ব্যালান্স শিট, জুলাই থেকে ডিসেম্বরে জিএসটি রিটার্নের নথিও জমা দিতে বলা হয়েছে।
কর কমলে যাতে দামও কমে, তা দেখতেই পরোক্ষ কর পর্ষদে তৈরি হয়েছে ডিজি (সেফগার্ড) পদ। বিশেষত নভেম্বরে ২০০-রও বেশি পণ্যে ও রেস্তরাঁয় কর কমানোর পর থেকেই দাম কমানোর দিকে নজর দিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। অর্থসচিব হাসমুখ আঢিয়া স্পষ্ট করেছেন, কর কমার সঙ্গে দামও কমাতে হবে। না-হলে ব্যবস্থা।
অর্থ মন্ত্রকের তথ্য, এখনও পর্যন্ত ১৬৯টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তার মধ্যে ৫টি ক্ষেত্রে নোটিস পাঠানো হয়েছে। প্রসাধনী, রেস্তরাঁ ছাড়াও ফ্ল্যাট ও গাড়ির ক্ষেত্রেও দাম না-কমানোর অভিযোগে নোটিস গিয়েছে। এতে নতুন করে ইন্সপেক্টর-রাজ ফিরবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও মন্ত্রকের যুক্তি, মানুষের স্বার্থেই এই পদক্ষেপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy