Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

১০ হাজারের দিকে নিফ্‌টি

এক দিকে রিলায়্যান্স, আইটিসি এবং টিসিএসের শেয়ার দরে জোয়ার, এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের নিট মুনাফা ২০% বাড়ার জেরে তার দরে ঊর্ধ্বগতি। অন্য দিকে, দেশের আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের ইতিবাচক মন্তব্য— এই দুইয়ের প্রভাবে উপরে উঠেছে সূচক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৭ ০৩:২৪
Share: Save:

দশ হাজারের দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে নিফ্‌টি। ৩২ হাজারের ঘরে আগেই ঢুকে পড়েছে সেনসেক্স। বিশেষজ্ঞদের আশা, এ বার সূচকের লম্বা দৌড় দেখতে চলেছে বাজার। যদিও মুনাফার টাকা ঘরে তোলা বা অন্য কিছু স্বাভাবিক কারণে মাঝেমধ্যে সূচক কিছুটা করে পড়তে পারে। তবে নিট হিসাবে গতি যে এখন উপরের দিকেই থাকবে, তা নিয়ে তেমন সংশয় দেখা যাচ্ছে না বিশেষজ্ঞদের মন্তব্যে।

সোমবার নিফ্‌টি ৫১.১৫ পয়েন্ট বেড়ে এক সময়ে পৌঁছয় ৯,৯৮২.০৫ পয়েন্টে। ১০ হাজারের থেকে মাত্র ১৮ পয়েন্ট দূরে। তবে দিনের শেষে থামে ৯,৯৬৬.৪০ অঙ্কে। সেনসেক্স ২১৬.৯৮ পয়েন্ট বেড়ে থিতু হয় ৩২,২৪৫.৮৭ অঙ্কে। দিনের সর্বোচ্চ অঙ্ক ৩২,৩২০.৮৬, যা এ পর্যন্ত তার সর্বোচ্চ উচ্চতা বলে বাজার সূত্রের খবর। মূলত বেড়েছে তেল-গ্যাস, তথ্যপ্রযুক্তি, ভোগ্যপণ্য সংস্থার দর।

এক দিকে রিলায়্যান্স, আইটিসি এবং টিসিএসের শেয়ার দরে জোয়ার, এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের নিট মুনাফা ২০% বাড়ার জেরে তার দরে ঊর্ধ্বগতি। অন্য দিকে, দেশের আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের ইতিবাচক মন্তব্য— এই দুইয়ের প্রভাবে উপরে উঠেছে সূচক।

অ্যাক্সিস মিউচুয়াল ফান্ডের অন্যতম প্রাক্তন কর্তা এবং বর্তমানে রেনেসাঁ ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজারের সিইও পঙ্কজ মুরারকা বলেন, ‘‘বাজারে যে এখন বুলরাই রাজত্ব করবে, তাতে সন্দেহ নেই।’’

এতটা আশাবাদী হওয়ার কারণ কী? প্রবীণ বাজার বিশেষজ্ঞ অজিত দে বলেন, ‘‘ভারতে শেয়ার বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠবে দেশের জোরালো আর্থিক ভিতের উপর ভর করেই।’’ অজিতবাবু এবং মুরারকা এখানে মূলত জিএসটি চালু হওয়ার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। মুরারকা বলেন, ‘‘সন্দেহ নেই, জিএসটির ইতিবাচক প্রভাব আর্থিক ব্যবস্থার উপর পড়বে। আশা করছি, এই অর্থবর্ষে শিল্প সংস্থাগুলিও ভাল ফল করবে।’’

পাশাপাশি, ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য, গত অর্থবর্ষে ব্যাঙ্কগুলি অনুৎপাদক সম্পদ খাতে বড় অঙ্ক আর্থিক সংস্থান করেছে। ফলে বহু ব্যাঙ্কের নিট লোকসান হয়েছে। কিন্তু তাতে তাদের আর্থিক স্বাস্থ্য অনেক মজবুত হয়েছে। জনৈক বাজার বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘‘দেশ অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে গত কয়েক মাস চলেছে। নভেম্বরে ঘোষিত হল নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত। পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্তে অশান্তি লেগেই রয়েছে। কিন্তু এর প্রভাব বাজারে পড়েনি।’’

তবে কয়েকটি বিষয় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ চিন্তিত। সম্প্রতি অতি বর্ষা তাঁদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় কি না, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা। চিনের হাবভাবেও কেউ কেউ সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন।

উত্থানের পথ


তেল-গ্যাস, তথ্যপ্রযুক্তি, ভোগ্যপণ্য সংস্থার চাঙ্গা বাজার


ভারতের বৃদ্ধির গতি নিয়ে আইএমএফের ইঙ্গিত

শঙ্কা


অতিবৃষ্টিতে তৈরি হতে পারে বন্যা পরিস্থিতি


চিনের হাবভাব প্রভাব ফেলতে পারে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE