হাসিখুশি: নয়ডার গাড়ি মেলায়। বৃহস্পতিবার। ছবি: পিটিআই ।
এক দিকে ভারী শিল্পমন্ত্রী অনন্ত গীতের মাস দুয়েকের মধ্যে নতুন গাড়ি নীতি আনা ও ধাপে ধাপে তা বদলের আশ্বাস। যাকে বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে শিল্পের ক্ষোভে জল ঢালার মরিয়া চেষ্টা হিসেবে দেখছে অনেকে। অন্য দিকে শিল্পমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে গাড়ি তৈরির শিল্পগুচ্ছ (ক্লাস্টার) গড়ার বার্তা। এবং গোড়ায় অন্ধ্রপ্রদেশকেই পাখির চোখ করে এগোনোর ইঙ্গিত। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর দল তেলেগু দেশমের সঙ্গে টানাপড়েন চলছে বিজেপির। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এ আসলে মনোমালিন্য সরিয়ে শরিককে কাছে টানার পদক্ষেপও।
বৃহস্পতিবার গাড়িকে হাতিয়ার করে এ ভাবেই গুরুত্বপূর্ণ দুই লক্ষ্য পূরণের পথে পা বাড়াল কেন্দ্র। গ্রেটার নয়ডার গাড়ি মেলায় গীতে বললেন, সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে নতুন গাড়ি নীতি তৈরি হবে। সংস্থাগুলিকে সময় দিতে একবারে নয়, ধাপে ধাপে বদল আনা হবে সরকারি নীতিতে। আর নয়াদিল্লিতে গাড়ির যন্ত্রাংশ মেলায় প্রভুর দাবি, গাড়ি শিল্পের উন্নতি ও রফতানি বৃদ্ধির জন্যই এই ক্লাস্টার তৈরির পরিকল্পনা তাঁদের। নায়ডুর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে শীঘ্রই কথা বলবেন তিনি। যাতে বিশ্ব মানে পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায় অন্ধ্রপ্রদেশে।
দেশে পুরোদস্তুর বৈদ্যুতিক গাড়ি আনতে সড়়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়়ীর ২০৩০ সালের সময়সীমা বাঁধায় উদ্বিগ্ন গাড়ি শিল্প। তারা আরও ক্ষুব্ধ মন্ত্রী জবরদস্তি সেই নির্দেশ মানতে বাধ্য করার হুঁশিয়ারি দেওয়ায়। এই অবস্থায় বৈদ্যুতিক বা পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি চালিত গাড়ির মতো হালে গাড়ি শিল্পের সামনে মাথা তোলা নানা বিষয়ের সঠিক দিশা তুলে ধরতেই ওই নীতি আনার কথা এ দিন জানান গীতে।
উঁচু করের হার-সহ বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে এ দিন গীতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন গাড়ি শিল্পের সংগঠন সিয়ামের প্রেসিডেন্ট অভয় ফিরোদিয়া। মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি, নতুন নীতিতে সব কিছুর সমাধানই থাকবে। মার্চের পরে বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড (প্রথাগত জ্বালানি ও বৈদ্যুতিক দুই ব্যবস্থাই থাকে) গাড়ির জন্য আর্থিক সুবিধা প্রকল্প ‘ফেম’-এর দ্বিতীয় পর্যায় চালু হবে বলেও জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy