প্রত্যাশা ছিলই। যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সোমবার আরও উঠল শেয়ার বাজার। এবং ফের নজিরবিহীন উচ্চতায় পা রাখল সেনসেক্স, নিফ্টি। লগ্নিকারীদের মুনাফা ঘরে তোলার জেরে দিনের শেষে উত্থানের অঙ্ক তেমন বেশি ছিল না ঠিকই। তবে শুক্রবারও রেকর্ড উচ্চতায় থাকার সুবাদে, মাত্র ৩৬.২০ পয়েন্ট বেড়েই সেনসেক্স পৌঁছে গেল ৩১,৩০৯.৪৯ পয়েন্টের নতুন শিখরে। ২১.৬০ পয়েন্ট বেড়ে নিফ্টি প্রথম বার থিতু হল ৯,৬৭৫.১০ অঙ্কে। ডলারে টাকার দামও বাড়ল ৮ পয়সা। দিনের শেষে এক ডলার দাঁড়ায় ৬৪.৩৬ টাকায়।
হাতে গোনা যে ক’টি পণ্যে জিএসটি-র হার ঠিক হওয়া বাকি ছিল, শনিবার সেগুলিতে সায় দিয়েছে সংশ্লিষ্ট পরিষদ। যে-কারণে সে দিনই অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানিয়েছেন, ১ জুলাই থেকে ওই নতুন কর চালু করতে তাঁরা তৈরি। সোমবার শেয়ার বাজার খোলার পরেই তার জের পড়ল লেনদেনে। জিএসটি চালু হওয়া নিয়ে আগ্রহী বাজারে পুঁজি ঢালতে দেখা গেল খুশি লগ্নিকারীদের। গত অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে বেশির ভাগ কর্পোরেট সংস্থা ভাল ফল করায়, তাঁরা অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়ার আশায় এমনিতেই বুক বেঁধেছেন। তার উপর ছিল জিএসটি নিয়ে প্রত্যাশা।
উত্থানে ইন্ধন জুগিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতির আগে এ দিন ব্যাঙ্ক শেয়ার কেনার ঝোঁকও। কারণ ব্যাঙ্কগুলিতে অনুৎপাদক সম্পদের সমস্যা কমাতে এ বার শীর্ষ ব্যাঙ্ক আরও কোমর বেঁধে নামবে বলে আশা অনেকের।
এ দিন ঘুরে দাঁড়িয়েছে রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্স (আর-কম) শেয়ারও। টানা পড়তে থাকায় তলানিতে ঠেকার পরে তার দর বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি। যার কারণ, সংস্থার ধার মেটানোর জন্য আরও সময় পাওয়া এবং প্রয়োজনে তা ঢেলে সাজার পরিকল্পনা।
বেড়েছে গয়না সংস্থাগুলির দরও। গয়না ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা ছিল, বেশি টাকার গয়না কেনায় প্যান নম্বর বাধ্যতামূলক হওয়ার পরে এ বার জিএসটির হারও চড়া হলে, মাথায় হাত পড়বে তাঁদের। কিন্তু কেন্দ্র ৩ শতাংশের বিশেষ হার ঘোষণা করায় খুশি স্বর্ণশিল্প এবং সোনায় লগ্নিকারীরা।
তবে দিনভর যতটা খুশি দেখিয়েছে বাজারকে, লেনদেন শেষে ততটা বাড়েনি। সূচক এক সময়ে অনেকখানি উঠে গেলেও, লগ্নিকারীরা পরে শেয়ার বেচে মুনাফা ঘরে তুলতে থাকেন। যার কারণ—
• রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতির আগে কিছুটা সতর্ক থাকা।
• লন্ডনে সন্ত্রাসবাদী হামলার জেরে এবং ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের ঋণনীতির আগে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ইউরোপের বিভিন্ন শেয়ার বাজারে পতন।
• সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে কাতারের সঙ্গে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও মিশররের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা। দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার রাজনীতি জুড়ে যার প্রভাব ছড়াতে থাকায় অশোধিত তেলের দাম বেড়ে যাওয়া।
• এশিয়ার বিভিন্ন বাজারে পতন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy